• রাস্তা থেকে RG করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তুলল CBI! নিয়ে গেল ‘ডেরায়’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ আগস্ট ২০২৪
  • সকালে ইস্তফা দিলে বিকেলে নয়া ‘পোস্টিং’ পেতেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গেল সিবিআই। তাঁকে নিজেদের ‘ডেরা’ সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, তা নিয়ে আপাতত কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার জন্য সন্দীপকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু হাজিরা দেননি সন্দীপ। বরং আজ স্বাস্থ্যভবনে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেকের মতো ছিলেন। সেখান থেকে বেরোনোর পরই মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে চলে গিয়েছে সিবিআই।

    একটি মহলের দাবি করা হয়েছে যে ‘নিরাপত্তার অভাব’-র কারণ দর্শিয়ে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিতে আসেননি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। সেই পরিস্থিতিতে আজ তাঁকে একেবারে ‘নিরাপত্তা’ নিয়ে মাঝরাস্তা থেকেই সিবিআই তুলে নেয় বলে ওই মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে।

    আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দীপের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছিল। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় অনেক কিছু জানেন সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তোলা হয়েছিল। তার জেরে প্রবল চাপ তৈরি হলেও বহাল তবিয়তে ছিলেন সন্দীপ। পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিকেলেই অবশ্য নয়া পদ পেয়ে যান। 

    নয়া চেয়ারে বসার আগেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। অধ্যক্ষের ঘরের তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টে তুমুল ভর্ৎসিত হন সন্দীপ। সময় বেঁধে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম কড়া ভাষায় বলেন যে সন্দীপ যদি লম্বা ছুটিতে না যান, তাহলে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। তারপর অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে চলে যান সন্দীপ।

    পুলিশের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন সন্দীপ। দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান। সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। যাঁর ভূমিকা নিয়ে আগেই হাইকোর্ট উষ্মাপ্রকাশ করেছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)