বেলাঘাটার সিআইটি মোড় এলাকার বদন রায় লেনের বাসিন্দা সন্দীপবাবু। তিন মাথার মোড়ের ওপর চার তলা অট্টালিকা তাঁর। বাড়ির সামনে নেম প্লেটে জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির পাশেই একটি বন্ধ শাটারের শেডের নীচে বসে রয়েছেন তিন জন পুলিশকর্মী। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে একে একে এদিন ওদিক ছড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এরই মধ্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এক পুলিশকর্মী জানান, বনধের ডিউটি করতে এসেছেন তিনি।
তবে পুলিশকর্মীর সেই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, কস্মিনকালে এখানে বনধে কখনও পুলিশ পোস্টিং হয়নি। পুলিশ পোস্টিং হয় সিআইটি রোডের ওপর। বুধবার রাত থেকে এখানে পুলিশকর্মী মোতায়েন হয়েছে। তখন তো বনধ ছিল না। স্থানীয়রা জানান, বুধবার সন্দীপবাবুর বাড়ির কাছে একটি জমায়েত হয়। এর পর রাত বাড়তে সেখানে পুলিশি পাহারা বসে।
ওদিকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন সন্দীপবাবু। আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেছে।
আরজি করে মহিলা চিকিৎকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে একের পর এক অভিযোগ। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিস্ফোরক সব অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। শান্তনুবাবুর দাবি, সন্দীপ ঘোষের জমানায় আরজি করের পড়াশুনো রসাতলে গেছে। অধ্যক্ষের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখলে আগে থেকেই পরীক্ষার প্রশ্ন জানা যায়। এমনকী মদ খাইয়ে কিছু জুনিয়র ডাক্তারকে সন্দীপবাবু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতেন বলেও অভিযোগ।