অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্তে এখনও পর্যন্ত প্রাক্তন এমএসভিপি সঞ্জয় বশিষ্ঠ সহ ফরেনসিক বিভাগের চারজনকে তলব করে সিবিআই। সেই অনুযায়ী, এদিন সিজিও কমপ্লেক্স-এ যান চিকিৎসক অপূর্ব বিশ্বাস, রীনা দাস, পলি সমাদ্দার ও মলি বন্দোপাধ্যায়। তাঁরা ওই তরুণী চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত করেন। সিবিআই সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে কোনও চাপ তাঁদের দেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়াও টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে যান কেস ডায়েরি নিয়ে।
প্রসঙ্গত ৯ আগস্ট ভোর রাতের দিকে নৃশংসভাবে অত্যাচারের পর খুন হন ওই তরুণী চিকিৎসক। পরদিন সকালে জরুরি বিভাগের সেমিনার হল থেকে তাঁর প্রায় বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তদন্তে নেমে সঞ্জয় রায়কে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে গিয়ে কালঘাম ছোটে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। প্রথমে জোকা ইএসআই হাসপাতাল এবং তারপরে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে ধৃতের স্বাস্থ্যপরীক্ষা সম্ভব হয়নি। শেষে বি আর সিং হাসপাতালে সঞ্জয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়।