আইন অনুযায়ী, ধর্ষিতার ছবি, নাম কিংবা অন্যান্য তথ্য প্রকাশ্যে আনা দণ্ডনীয় অপরাধ। জনতা সে কথা গ্রাহ্য না করেই বিভিন্ন মাধ্যমে দেদার ছড়িয়ে দিচ্ছেন ছবি। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে গিয়েছে আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার রুমে ধর্ষিত এবং খুন হওয়া সেই ডাক্তারি পড়ুয়ার ছবি। এই পরিস্থিতিতে রাশ টানতেই তৎপর হল কলকাতা হাইকোর্ট।
অপরদিকে বুধবার মহিলাদের রাত দখলের মধ্যরাতেই আরজিকর হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় কিছু দুষ্কৃতী। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর। ভাঙচুরের সময়কার ছবি দিয়ে কয়েকজনকে চিহ্নিত করে সমাজ মাধ্যমে শেয়ারও করেছে কলকাতা পুলিশ। আরজিকর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মোট তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তরফে।
এদিন আন্দোলনরতদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করতে জনস্বার্থ মামলাকারীদের নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কলকাতা পুলিশ ও আরজিকর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিককে আলাদা করে হলফনামা দিয়ে পুরো ঘটনার রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে আদালতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে তদন্তের প্রাথমিক অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী বুধবার পরবর্তী শুনানি। আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার, নার্সদের যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করতেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও আরজিকর হাসপাতালে এখনই কেন্দ্রীয়বাহিনী মোতায়নের আবেদন গ্রহণ করল না কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।