এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সন্দীপের আইনজীবী বলেন,’সিবিআই নোটিস দিলেও বাড়ি ঘিরে রাখায় যেতে পারেননি তাঁর মক্কেল। তাই নিরাপত্তা চাইছেন। একথা শুনেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘রাজ্যকে বলুন নিরাপত্তা দিতে। আপনি (সন্দীপ ঘোষ) তো প্রভাবশালী। ৫০০ পুলিশ দিয়ে দেবে। না হলে আদালতের কাছে আসুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না হয় আপনার বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছি’।
প্রসঙ্গত এর আগেও একাধিকবার আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বদলির অর্ডার হয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন থেকে। সম্প্রতি আরজি করে যে ঘটনা ঘটে, তার পরিপরিপ্রেক্ষিতে চেয়ার ছাড়তে হয় সন্দীপ ঘোষকে।
তবে আরজিকর থেকে সরতে হলেও স্বাস্থ্যভবন তাঁকে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ করে। যা নিয়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয় সেখানকার পড়ুয়াদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা উঠতেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সন্দীপ ঘোষকে। গত বুধবার আদালত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছিল, তাঁকে লম্বা ছুটিতে যেতে। প্রধান বিচারপতি এও বলেছিলেন, ‘সন্দীপ ঘোষ ছুটির আবেদন করলে অবিলম্বে তা গ্রহণ করতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না।’
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে আরজিকর-এর ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। আরজিকর-এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ হিসাবে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হবে। এদিকে শুক্রবার দেখা যায়, পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে সন্দীপ ঘোষের বাড়ি। এলাকার লোকজনের দাবি, ‘সন্দীপকে নিরাপত্তা দিতে এই পুলিশি মোতায়েন’।
পাল্টা পুলিশ জানায়, ‘ধর্মঘটের জন্য পাহারা চলছে।’ এই আবহে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সন্দীপ ঘোষ। চাইলেন নিরাপত্তা।ইতিমধ্যেই শুক্রবারই মাঝ রাস্তা থেকে সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য নিয়ে যায় সিবিআই।