• সোশাল মিডিয়া পোস্টে ক্ষুব্ধ আর জি করের মৃত চিকিৎসকের বাবা, মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন ধন্যবাদ
    প্রতিদিন | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: যৌন হেনস্তা ও খুন। কর্তব্যরত অবস্থায় আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) এমনই মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হয়েছেন পানিহাটির তরুণী চিকিৎসক। আর সেই স্পর্শকাতর ইস্যুতে বার বার সোশাল মিডিয়ায় এমন কিছু প্রচার চলছে, যা নিয়ে বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ তাঁর বাবা। শুক্রবার নিজের বাড়ি থেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। কান্নাজড়ানো গলায় বললেন, “সোশাল মিডিয়ায় (Social Media)কিছু পোস্ট করা হচ্ছে। তাতে সত্যিই আমরা বিরক্ত।” তবে সিবিআই তদন্তের উপর ভরসা রাখলেন নিহত তরুণীর বাবা। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে সুবিচারের জন্য অনেক কিছু করছেন বলে তাঁকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

    শুক্রবার কলকাতার (Kolkata) রাজপথে নেমে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সঙ্গে মিছিলে পা মিলিয়েছেন দলের সর্বস্তরের মহিলা জনপ্রতিনিধিরা। মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত নিহত তরুণী চিকিৎসকের ন্যায়বিচারের দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই প্রতিবাদ মিছিল স্পর্শ করেছে মৃতার মা-বাবাকে। এই প্রসঙ্গে সন্তানহারা পিতা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী প্রথমদিন থেকেই চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি উনি এখনও যে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন, সেটাও দেখতে পাচ্ছি। উনিই জানিয়েছিলেন, সিবিআইকে (CBI)তদন্তভার দেবেন। যদিও তার আগেই আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে।

    এদিনের মিছিল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলকে আক্রমণ করেছেন, তা নিয়ে বাবার মত, “সরকারপক্ষ সবসময়ই বিরোধী পক্ষকে নিশানা করবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েরা রাস্তায় নেমেছে, কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে নয়। কেউ কোনও পক্ষের হলেও খালি হাতে প্রতিবাদ (Protest) করছেন। চিকিৎসক সংগঠনও মেয়ের বিচার চেয়ে সারা দেশে আন্দোলন করছে।”

    তবে এদিনও হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মৃত তরুণী চিকিৎসকের বাবা। তাঁর কথায়, “আমাদের ফোন করেছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার। হাসপাতালে পৌঁছনোর তিন ঘন্টা পর মেয়ের মরদেহ দেখতে দেওয়া হয়েছিল। প্রথমদিন থেকেই হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেনি। উলটোদিকে, আমরা সেই মুহূর্তে মেয়ে হারানোর যন্ত্রণায় ছিলাম, প্রিন্সিপাল আমাদেরকেই ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তবে ঘটনাটিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এটা করা হয়েছিল।” মেয়ের মৃতদেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় পথে কেউ বাধা দেয়নি বলেও এদিন জানান তিনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)