• ‘আপনার মেয়ে অসুস্থ, কেস ঘোরানোর’ চেষ্টা করছিল পুলিশ, বিস্ফোরক RG করের তরুণীর মা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • ‘কেস’ ঘোরানোর চেষ্টা করছিল কলকাতা পুলিশ। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মা। সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দে তিনি বলেন, ‘যখন ওই সিজার লিস্ট হয়, সেখানেও আমি বসেছিলাম। তখন পুলিশ কেসটা ঘোরানোর জন্য আমার মেয়ের ব্যাগ থেকে কতগুলো রিপোর্টও বের করে আমায় দেখায়। আপনার মেয়ে তো অসুস্থ ছিল। এত ওষুধ খেত। তখন আমি বললাম যে না, আমার মেয়ের একটা আন-নন বাইট হয়েছিল আগের সপ্তাহে। ও ওইজন্য ওই ট্রিটমেন্ট, ওই রিপোর্টগুলি করিয়েছিল। সেদিন ওর ওপিডি ডিউটি ছিল। ওপিডিতে MR গুলো ওই ওষুধগুলো দিয়েছিল। তারপর আর ঘোরাতে পারেনি।’

    সার্বিকভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে উষ্মাপ্রকাশ করেন তরুণী চিকিৎসকের মা। ওই সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মেয়েটা তো চলে গিয়েছেন। দোষীরা যেন চরম থেকে চরমতম শাস্তি পায়। কোনও মা যাতে তাঁর মতো সন্তানহারা না হন, সেই প্রার্থনাও করেন তরুণী চিকিৎসকের মা। সেইসঙ্গে ১৪ অগস্ট ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির প্রসঙ্গে তিনি জানান, নিজের মেয়েকে হারিয়েছেন। কিন্তু কোটি-কোটি মেয়েকে পাশে পেয়েছেন। তরুণী চিকিৎসক যতক্ষণ না বিচার পাচ্ছেন, ততক্ষণ যেন প্রত্যেকে পাশে থাকেন, সেই আর্জিও জানান।

    আপাতত আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার তদন্ত করছে সিবিআই। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার নেওয়ার পরে নতুন করে কাউকে গ্রেফতার না করলেও একাধিকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেও।

    এমনকী জিজ্ঞাসাবাদের নোটিশে সাড়া না দেওয়ায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে মাঝরাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর আধিকারিকরা। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে আপাতত সিবিআইয়ের তরফে কিছু জানানো হয়নি। 

    তবে একটি মহলের ধারণা, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে যেভাবে সন্দীপের নাম উঠে এসেছে, তাতে সিবিআইয়ের কড়া নজরে থাকবেন সন্দীপ। যিনি কলকাতা হাইকোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরে তাঁকে যখন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে বদলি করা হয়েছিল, তখন হাইকোর্ট ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দেওয়ায় কার্যত বাধ্য হয়েছেন ছুটিতে যেতে। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)