• ‘‌অনিতা দেওয়ান–তাপসী মালিক গণধর্ষণ কার আমলে’‌, মমতার প্রশ্নের উত্তর দিল জনগণ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। আর আজ, শুক্রবার আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিটি সেন্টার এলাকার মাঝ রাস্তা থেকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই আবহে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, শুক্রবার দুপুরে মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন তিনি। এখান থেকেই সিপিএমের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুললেন তিনি। সিবিআইকেও ডেডলাইন বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    এদিকে আজ সকালে সিবিআই দফতরে এসে পৌঁছয় সাতজনের একটি সিবিআই টিম। তাঁদের হাতে ছিল থ্রিডি স্ক্যানার। এই স্ক্যানার নিয়েই সিবিআই দল আরজি কর হাসপাতালে যায়। সেখানে গিয়ে ডিজিটাল অভিডেন্স সংগ্রহ করে। আজ কলকাতার রাজপথে মিছিলে হেঁটে তারপর মঞ্চে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‌বিজেপি এবং সিপিএমের হামলায় কোটি কোটি টাকার জিনিস নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করতে নামলেন বলে আমাদের নামতে হল। উত্তরাখণ্ডে নার্সের ধর্ষণ–মৃত্যুর ৯ দিন পর দেহ মিলেছে। কিন্তু বাংলায় এসব হয় না। ডঃ অনিতা দেওয়ানের গণধর্ষণ হয়েছিল, কার আমলে? কোচবিহারের নার্স বর্ণালি দত্তকে খুন করেছিল কার আমলে? সিঙ্গুরের তাপসী মালিককে ধর্ষণ কার আমলে?’‌ জনগণ চিৎকার করে উত্তর দিল, ‘‌সিপিএমের আমলে।’‌

    অন্যদিকে আরজি কর হাসপাতালের চারতলার সেমিনার হলে ডাক্তারি ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। সিবিআই তদন্তে সম্মতি আগেই জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কলকাতা পুলিশ তদন্তের সময় পায়নি। কারণ কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দেয়। আজ রাজপথে হাতজোড় করে মিছিলে হাঁটেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে স্লোগান উঠল, ‘দোষীদের ফাঁসি চাই’‌। আর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘মণিপুরে মহিলাদের যখন নির্যাতন করা হয়েছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার ক’টা দল পাঠিয়েছে? সত্য ঘটনা সামনে আসুক। গিয়েছিলেন তো প্রমাণ লোপাট করতে। থার্ড ফ্লোর ভেবে রাতে আপনারা সেকেন্ড ফ্লোরে চলে গিয়েছিলেন। সিসিটিভি ভেঙেছেন। জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট করেছেন। যখন উন্নাও, হাথরাস হয়, প্রতিবাদ করেন না। রাজভবনে হেনস্থার ঘটনাতে প্রতিবাদ করেন না। আজ দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে এরকম করছেন।’‌

    এছাড়া আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। মৌলালি থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত তিনি একটি পদযাত্রা করেন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌ডিওয়াইএফআই তাদের পতাকা, বিজেপি নেয় জাতীয় পতাকা নিয়ে হামলা করেছে। এদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমি রাজনীতি করলেও মানুষ। এই ঘটনায় জ্বলে যাচ্ছিলাম। সিবিআই যদি রবিবারের মধ্যে দোষীকে ধরতে না পারে, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। রাম–বামের চক্রান্ত ব্যর্থ করুন। আমরা কামদুনিতে দু’জনকে ফাঁসি দিয়েছি। কিন্তু আদালত রদ করেছে। ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দিয়েছিলেন। কিন্তু আসল লোককে কি ফাঁসি দিয়েছেন? রোজ কাগজে পড়ছি। যিনি ফাঁসি দিয়েছেন, তিনি বলছেন, আমি মনে মনে কষ্ট পাচ্ছি। মণিপুর সামলাতে পেরেছেন? নাগাল্যান্ড, অসম সামলাতে পেরেছেন? মিথ্যে প্রমাণিত হয়। যতই কুৎসা করা হোক।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)