• উন্মত্ত জনতার হামলা রুখতে পুলিসকে ‘গো-স্লো’ কে বলল!
    বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আলিপুর থানা ভাঙচুরের সময় পুলিস লুকিয়েছিল টেবিলের তলায়। যা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি।আর জি করের ভাঙচুরের সময় পুলিস আশ্রয় নিল স্ত্রী রোগ ও প্রসূতি বিভাগে। যাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা তাঁরাই অভিযুক্তদের ভয়ে ঢুকে পড়ায় জোর চর্চা শুরু 

    হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এমনকী অভিযুক্তরা ঢুকে পড়ছে দেখেও, পুলিস যেভাবে নিষ্ক্রিয় থেকেছে, তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও এর সাফাইয়ে লালবাজার জানিয়েছে, ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তা আহত হওয়ায় পুলিস কর্মীরা একটু অবিন্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা গুছিয়ে নিয়েছিলেন।

    আর জি করের হাসপাতালে  চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পরই গোলমালের আশঙ্কায় ২৪ ঘণ্টাই পুলিস মোতায়েনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঘটনার দিন অপরাধীরা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে। তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসেননি পুলিস কর্মীরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিস কর্মীদের অনেকেরই বক্তব্য, তাঁরা লাঠি নিয়ে তেড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু নির্দেশ আসে ‘গো স্লো‘! ডিসিপ্লিনড ফোর্সের অংশ হিসেবে তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে আর এগননি। কিন্তু এই নির্দেশ কেন দেওয়া হল এবং তা কোন উদ্দেশ্যে, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুলিস নিষ্ক্রিয় থাকায়, দুষ্কৃতীরা তাঁদের সামনেই গার্ড রেল ভাঙে। দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় পুলিসের উপর। কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের চেয়ে অভিযুক্তদের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হওয়ায় তাঁরা কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এই অবস্থায় প্রাণ বাঁচতে লিফ্টে চেপে সোজা প্রসূতি বিভাগে আশ্রয় নেন। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের দাবি, পুলিস কর্মীরা মহিলাদের বাথরুমে ঢুকে পড়েছিলেন। পুলিস শূন্য আর জি করে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে তাণ্ডব চালাতে থাকে উন্মত্ত জনতা। কলকাতা পুলিসের এক ইন্সপেক্টর সহ তিনজনকে দুষ্কৃতীরা তাঁদের কেটে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। অন্য পুলিস কর্মীদেরও একইরকমভাবে ভয় দেখানো হয়। পুলিস কেন লুকিয়ে পড়ল? পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের জবাব, ডিসি নর্থ আহত হওয়ার পর পুলিস একটু অবিন্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই সব গুছিয়ে নিয়ে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)