শুক্রর পর শনিতেও CBI দপ্তরে সন্দীপ, কী বললেন তিনি?
এই সময় | ১৭ আগস্ট ২০২৪
শুক্রবার মাঝরাস্তা থেকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে তুলে নিয়ে যায় সিবিআই। গভীর রাত পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। বয়ান রেকর্ড করা হয়। শনিবার সকালে তাঁকে ফের সিজিওতে ডাকা হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময় সন্দীপ বলেন, ‘তদন্তের জন্যেই আমায় ডাকা হয়েছে। আমি সবরকম সাহায্য করবো। আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’আরজি করকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলে। সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই তলব করলেও প্রথমে তিনি হাজিরা দেননি। এরপর শুক্রবার কার্যত মাঝরাস্তা থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে যায় সিবিআই আধিকারিকরা। দুপুর ৩ টে নাগাদ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার সময় মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ। পরে তিনি পদত্যাগ করেন। ফলত, ঘটনার রাতে তিনি কোথায় ছিলেন? ঘটনার পর কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? বাকিদের বয়ানের সঙ্গে তাঁর বয়ান মিলছে কি না, সেটাই মূলত খতিয়ে দেখতে চাইছেন গোয়েন্দারা।
ইতিমধ্যেই ঘটনার দিন রাতে যাঁরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে কর্তব্যরত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। আরজি কর হাসপাতাল থেকে একটি রেজিস্টার খাতা নিয়ে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেটাই দেখেই এক এক করে হাসপাতালের কর্মীদের তলব করছে সিবিআই। ডাক্তার, নার্সিং স্টাফ থেকে নিরাপত্তা রক্ষী, সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মোট ১৩ জনকে ধাপে ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সিবিআই সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন আন্দোলনরত ডাক্তাররা। হাইকোর্টে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁকে ‘প্রভাবশালী’ ও ‘পাওয়ারফুল লোক’ বলেও উল্লেখ করেছেন। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁকে অন্য কোনও কলেজে অধ্যক্ষ পদে রাখা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সন্দীপ ঘোষ পদত্যাগ করার পর তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ করে পাঠানো হয়েছিল। পরে হাইকোর্টের নির্দেশের পর ছুটির আবেদন করেছিলেন তিনি।