যাত্রীদের স্বার্থে কি বাড়বে ট্রেন, সার্ভে রাতের মেট্রোয়
এই সময় | ১৭ আগস্ট ২০২৪
এই সময়: রাত ৯টা ৪০-এর পর এক ঘণ্টার গ্যাপ। সেই ১০টা ৪০-এ দিনের শেষ মেট্রো ছাড়ে কবি সুভাষ ও দমদম থেকে। এক ঘণ্টার মধ্যে কি ট্রেন চালানো সম্ভব? যাত্রীদের আবেদনে সুবিধা-অসুবিধার সার্ভে শুরু হয়েছে কলকাতা মেট্রোর ব্লু-লাইনে।বুধবার, ১৪ অগস্ট ‘রিক্লেম দ্য নাইট’-এর রাতে কলকাতা মেট্রোর কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাত ১০টা এবং ১০টা ২০-তেও আপ ও ডাউন লাইনে একজোড়া ট্রেন চালানোর। মেট্রোর সেই উদ্যোগ প্রশংসা পেয়েছিল সবার। তাতে উৎসাহও বেড়েছে নিত্যযাত্রীদের। তাঁদের দাবি, ‘রাতের শেষ ট্রেন যেমন ১০টা ৪০-এ চলছে তেমনই চলুক। কিন্তু ৯টা ৪০ এবং ১০টা ৪০-এর মাঝে আরও অন্তত দু’টো ট্রেন চালানো হোক।’
এমনিতে রাত বাড়লেই দ্রুত কমতে থাকে শহরে পথে বাসের সংখ্যা। ১০টা পর কোনও কোনও রুটে বাস পাওয়াই যায় না। এমন পরিস্থিতিতে মহানগরের ‘লাইফ লাইন’ মেট্রো পরিত্রাতা হতেই পারত, যদি পরিষেবা চালু থাকত। নিত্যযাত্রীদের বহুদিনের আবেদন এবং কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হওয়ার পর কলকাতা মেট্রোর ব্লু-লাইনে রাত ১১টায় কবি সুভাষ ও দমদম থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে একজোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো শুরু হয়েছিল।
কিন্তু এক মাস পর ‘যথেষ্ট-সংখ্যক যাত্রীর অভাবে’ সেই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময়েই যাত্রীদের বড় অংশ বলতে শুরু করেছিলেন, ‘৯টা ৪০-এর পর ১১টা--দীর্ঘ ব্যবধানের জন্যেই কেউ আর মেট্রোর অপেক্ষায় থাকেন না। মাঝে ট্রেন থাকলে যাত্রীরা আসবেন।’ ১১টার বদলে মেট্রোর কর্তারা শেষ ট্রেনের সময় ১০টা ৪০ করে দেন। কিন্তু মাঝে এক ঘণ্টা মেট্রো থাকে না।
এ বার সেই ব্যবস্থার কি বদল সম্ভব? মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘৯টা ৪০-এর পর এবং শেষ ট্রেনের আগে আদৌ ট্রেন দেওয়া যায় কিনা, গেলে কতগুলো এবং কোন কোন সময়ে--সে বিষয়ে আমরা একটা সার্ভে চালাচ্ছি। যদি উপযুক্ত মনে হয় তা হলে যাত্রীদের কথা ভেবে অবশ্যই ভালো কিছু করা হবে।’