• আরজি করে হামলা পরিকল্পনামাফিক, ভিডিয়ো দেখিয়ে দাবি কমিশনারের
    এই সময় | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে বুধবার রাতে হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছিল — এমনই ইঙ্গিত পাচ্ছে লালবাজার। সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের উসকানি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। শুক্রবার লালবাজারে সংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনটি ভিডিয়ো ফুটেজ দেখান কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। ওই ভিডিয়োতে সিপিএম-এর যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর পতাকাও দেখা গিয়েছে।উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকে তৃণমূলের তরফেও দাবি করা হয় যে ওই হামলার ঘটনায় ডিওয়াইএফআই জড়িত। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে শুক্রবার বিনীত বলেন, ‘কোনও রাজনৈতিক রঙ না দেখে গ্রেপ্তার করা হবে হামলাকারীদের। ভিডিয়ো-ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।’

    এদিকে আরজি করে ওই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার, স্বাধীনতা দিবসে আদালতে বেকায়দায় পড়ে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশের তদন্তকারী অফিসার বা আইও-র নাম অভিষেক ঘোষাল। অভিযোগ, তাঁরই নেমপ্লেট-সহ পোশাক পরে শিয়ালদহ আদালতে হাজির হন অন্য এক পুলিশকর্মী। অথচ, ওই পুলিশকর্মীর সঙ্গে তাণ্ডব-হামলা সংক্রান্ত মামলার কোনও সম্পর্কই ছিল না। অভিযুক্তের আইনজীবীর সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পরে সেই অফিসার কাঠগড়া তেকে নেমে যান।

    পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের গেটের বাইরে রাজনৈতিক দলের পতাকা দেখা গিয়েছে। কিন্তু, যাঁরা ভিতরে ঢুকে হামলা চালিয়েছেন, পুলিশ কর্তাদের দাবি অনুযায়ী, তাঁরা কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন।

    পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘পরিকল্পনা মাফিক এমন করা হতে পারে। যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁদের হয়তো সুকৌশলে উসকানি দেওয়া হতে পারে। সে দিন শহরের সব রাস্তাই স্তব্ধ ছিল। গাড়ি যেতে পারছিল না। এটাও পরিকল্পনা করে করা হয়ে থাকতে পারে।’ বিনীত বলেন, ‘আমরা কাউকে লুকানোর চেষ্টা করছি না। প্রমাণ পেলেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

    বার বার ঘুরেফিরে একটাই প্রশ্ন উঠছে, এই হামলাকারীরা কারা? এক পুলিশকর্তার দাবি, ওই দিন যারা ভাঙচুর করেছে, বেশিরভাগই বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। কেউ মোবাইল সারায়, কেউ ডেলিভারি বয়। এর বাইরে আর কিছু বলতে চাইছেন না কেউই।

    এদিকে বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ আদালতে আইও-র পোশাক পরে পুলিশ অফিসারের হাজিরার প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের আইনজীবী অমর্ত্য দে বলেন, ‘শুনানি পর্বে তদন্তেকারী অফিসার যিনি রয়েছেন, আমারও তো জানা উচিত কে তিনি? কী নাম? যে নেমপ্লেট উর্দিতে ছিল, সেই নাম আদৌ ওই পুলিশকর্মীর ছিল না।’ বিচারক জানতে চান এই নাম কি আপনার?

    উনি বলেন, ‘না, এটা আমার নাম নয়।’ ওই পুলিশকর্মী বেকায়দায় পড়ে দাবি করেন, তাড়াহুড়োয় অন্য ইউনিফর্ম পরে চলে এসেছেন।’ এদিকে শুক্রবার শিয়ালদহ আদালতে ২৫ জনের মধ্যে ৯জনকে পেশ করা হয়। তাদের ২২ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
  • Link to this news (এই সময়)