• ভাঙচুরে জড়িত সিপিএম ও বিজেপি, প্রতিবাদের মঞ্চ থেকে আরজি কর ভাঙচুর নিয়ে স্পষ্ট মমতা ...
    আজকাল | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ১৪ আগষ্ট 'মেয়েদের রাত দখল' আন্দোলনের রাতে সাধারণ ঘরের মহিলাদের অংশগ্রহণের প্রশংসায় পাশাপাশি আরজি কর-এর ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএম ও বিজেপিকে দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।

    শুক্রবার ডোরিনা ক্রসিংয়ে দলের তরফে নেওয়া এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় সিপিএম ও বিজেপির দিকে আঙুল তুলে মমতা বলেন, 'সিপিএম ও বিজেপি আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে।' ভাঙচুরে অংশ নেওয়া দুষ্কৃতীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'রাত ১২টার পর পতাকা হাতে ডিওয়াইএফআই ও জাতীয় পতাকা নিয়ে বিজেপি গিয়েছিল।' তিনি বলেন, জাতীয় পতাকা নিয়ে গুণ্ডাগিরি 'ক্রিমিনাল অফেন্স। '

    ভাঙচুর প্রসঙ্গে এদিন তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'ওরা গিয়েছিল সমস্ত প্রমাণ লোপাট করতে। ভুল করে চারতলার বদলে তিনতলায় চলে গিয়েছিল। জীবনদায়ী ওষুধ লুঠ করেছে‌। সিসিটিভি ভেঙে দিয়েছে। বিরাট টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে।' বাম ও গেরুয়া শিবিরের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে মমতা বলেন, 'দেবেন আপনারা এই টাকা?'

    আরজি কর-এ চিকিৎসক খুনের ঘটনায় এদিনও মমতা বলেন, 'আমি প্রথমদিন থেকেই বলে আসছি দোষীদের শাস্তি হোক। রাজ্য সরকার ফাঁসির পক্ষে। ভবিষ্যতে যাতে এইরকম ঘটনা না ঘটে সেইজন্যই ফাঁসির দাবি করছি।' তিনি বলেন, মৃতার বাবা-মা বলেছিলেন আমাদের উপর ভরসা আছে। একইসঙ্গে বামেদের সমালোচনা করে তাঁর প্রতি আক্রমণের প্রসঙ্গ তুলে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন হাজরায় তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

    আরজি কর-এর ঘটনার পর সমাজ মাধ্যমে বিভিন্ন 'ফেক' বা ভুয়ো খবর প্রসঙ্গেও এদিন সরব হয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে এই ধরনের খবর আটকাতে বা 'সাইবার ক্রাইম' রুখতে রাজ্য সরকার যে কড়া আইন আনতে চলেছে এদিন সেই ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।

    এদিন মৌলালি থেকে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল একটি মিছিল করে। মিছিলে একদিকে যেমন আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবি তোলা হয়েছে তেমনি ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি ও সিপিএমের চক্রান্তের অভিযোগেও সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিটি ব্লকে এবিষয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে।

    এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা। দাবি তুলেছেন তাঁর বদলির। মমতার কথায়, '৯ জন রাজ্যপাল বদল হলেও বাংলায় হল না!'
  • Link to this news (আজকাল)