• বর্ধমানে যুবতীকে খুন, বন্ধুর দিকে সন্দেহের তির পুলিসের
    বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: বর্ধমান থানার নান্দুরে যুবতী খুনের অভিযোগে তাঁরই এক ‘বন্ধু’ পুলিসের আতস কাচের নীচে রয়েছে। তার বাড়ি অন্য জেলায়। তার খোঁজে পুলিস বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, বেশ কিছু ক্লু পাওয়া গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি দুষ্কৃতী গ্রেপ্তার হবে।

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা হাঁসদা(২২) নামে ওই যুবতী বেঙ্গালুরুতে একটি শপিংমলে কাজ করতেন। পাশাপাশি তিনি পড়াশোনাও করছিলেন। গত সোমবার বেঙ্গালুরু থেকে বাড়ি ফেরেন। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর নলি কাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি শৌচকর্মের নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় তাঁর মা বাড়ির বাইরে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুটা দূরেই তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিস প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, আততায়ী ওই যুবতীর পূর্ব পরিচিত। তার ডাকে সাড়া দিয়ে যুবতী ওই রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন। 

    মৃতার বাবা সুকান্ত হাঁসদার দাবি, মেয়ের সঙ্গে কারও ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক ছিল না। যাকে পুলিস সন্দেহ করছে সেই ছেলেটি অন্যত্র থাকে। সে অত দূর থেকে এসে কীভাবে খুন করবে? বাড়ির কাছেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওখান থেকে এসে কেউ কি বাড়ির কাছে খুন করার সাহস দেখাবে? আমরা চাই, পুলিস খুনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করুক। তার কঠোর সাজা হওয়া দরকার। বাড়ির কাছে মেয়েকে নৃশংসভাবে মারা হয়েছে। পুলিস অপরাধীকে ধরতে না পারলে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক। আমরা চাই না আর কারও মেয়ে এভাবে চলে যাক। 

    শুক্রবার পুলিস সুপার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, এক যুবকের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সে ওই যুবতীর বন্ধু। কোনও কারণে তাদের মধ্যে অশান্তি হয়ে থাকতে পারে। যুবতীর মোবাইলটিরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনুমান করা হচ্ছে, আততায়ী নিয়ে গিয়েছে। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই যুবতীকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে। আততায়ী তার জন্য আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পরই  ধারালো ছুরি জাতীয় কিছু দিয়ে তার গলার নলি কেটে দেয়। রাতের দিকে ওই এলাকা ফাঁকা থাকে। তারই সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতী চম্পট দেয়।
  • Link to this news (বর্তমান)