• বন্‌ধ ঘিরে মেদিনীপুরে পুলিস ও এসইউসি খণ্ডযুদ্ধ, গ্রেপ্তার ১১
    বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: আরজি কর মেডিক্যালে নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বনধ ডেকেছিল এসইউসি। এদিন সকালে মেদিনীপুর শহরে পুলিসের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিসকে মারধরের অভিযোগে ১১জনকে আটক করা হয়েছে। মেদিনীপুর থানার পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে বেশ কয়েকজন এসইউসি কর্মী জখম হয়েছেন। এঘটনায় শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে শহরে বনধের তেমন প্রভাব পড়েনি।

    এসইউসির জেলা সম্পাদক নারায়ণ অধিকারী বলেন, আমরা শহরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও বনধ কর্মসূচি পালন করছিলাম। সেসময় বেশ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিস বাধা দেয়। ধস্তাধস্তির জেরে আমাদের কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। তবে পুলিসকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

    এদিন সকালে এসইউসি কর্মীরা মেদিনীপুর কলেজের পড়ুয়াদের ঢুকতে বাধা দেয়। তা নিয়ে তৃণমূলের ছাত্র নেতাদের সঙ্গে তাদের বচসা ও ধস্তাধস্তি হয়। তারপরই পুলিস পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তার কিছুক্ষণ পর এসইউসি নেতৃত্ব কালেক্টরেট মোড়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, সেসময় বনধ সমর্থকরা একটি বেসরকারি বাস আটকে দেয়। বাসের চাবি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই সেখানে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। এক পুলিসকে মারধর করায় উভয়পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। পুলিস পাল্টা লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ১১জনকে আটক করা হয়।

    আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এসইউসিআই(সি)’র ডাকা বনধে নারায়ণগড়, বেলদা, দাঁতন, মোহনপুর ও কেশিয়াড়ি থানা এলাকায় তেমন প্রভাব পড়েনি। স্কুল-কলেজ, অফিস, আদালত, বাজার স্বাভাবিক ছিল। শুক্রবার সকালে বেলদা বাজার এলাকায় বনধ সমর্থকদের মিছিল করে পথ অবরোধ করতে দেখা যায়। বেলদা থানার পুলিস তাদের বাধা দিলে বচসা শুরু হয়। পরে বেলদার এসডিপিও’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী অবরোধকারীদের হটিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

    এদিন সকালে জাহালদা বাজারে বেলদা-দীঘা রাজ্য সড়কের ওপর সরকারি বাস আটকায় বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিস গিয়ে তাদের হটিয়ে দেয়। সকাল থেকে কেশিয়াড়ি এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ছিল। কিন্তু বেলদার এসডিপিও’র উপস্থিতিতে পুলিসের অনুরোধে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে সমস্ত বন্ধ দোকান খোলেন। দাঁতন ও মোহনপুর থানা এলাকায় বনধের কোনও প্রভাবই পড়েনি। জনজীবন স্বাভাবিক ছিল। তবে কেশিয়াড়ি ও দাঁতন রুটে বেসরকারি বাসের সংখ্যা কম থাকায় নিত্যযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়।
  • Link to this news (বর্তমান)