• ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতি রক্ষা কমিটির ফুটবল টুর্নামেন্টে মাতল শিল্পশহর হলদিয়া
    বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: স্বাধীনতা দিবসে শহিদ ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতা ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় মাতলেন শিল্পশহরের বাসিন্দারা। ১৫ আগস্টের সকাল থেকে মাঝ রাতে ফাইনাল খেলা পর্যন্ত হাজার হাজার ক্রীড়াপ্রেমীর জমায়েতে উদ্বেল হয়ে ওঠে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ায় শহিদ ক্ষুদিরামনগর ফুটবল ময়দান। এই ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রতিবারের আকর্ষণ কলকাতার ময়দান কাঁপানো নামী দেশি-বিদেশি ফুটবলারদের পায়ের যাদু সামনে থেকে দেখার সুযোগ। এবারও কলকাতার প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলারদের খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মাঠে ভিড় জমিয়েছিলেন ফুটবল ভক্তরা। টুর্নামেন্টের আয়োজক ক্ষুদিরাম বসু স্মৃতি রক্ষা কমিটি। হলদিয়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর পাঠভবন স্কুলের পাশের মাঠ ক্ষুদিরামনগর ফুটবল ময়দান কার্যত মিনি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণের চেহারা নিয়েছিল। 

    হলদিয়ায় ফুটবলের প্রতি উন্মাদনা শহরের জন্মলগ্ন থেকেই। একসময় আশি ও নব্বইয়ের দশকে হলদিয়ার দুর্গাচক স্টেডিয়ামে প্রতি বছর ১৫ আগস্ট বড় আকারে ফুটবল টুর্নামেন্ট হতো। পরবর্তীকালে ফুটবলপ্রেমীদের হাত ধরে সেই টুর্নামেন্ট শুরু হয় ক্ষুদিরামনগরে। এখন হলদিয়ার শহিদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের খ্যাতি জেলা ছাড়িয়ে সারা রাজ্যে রয়েছে। ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক মলয়কুমার সামন্ত ও অমরজ্যোতি মাইতি বলেন, এবার ২৩তম বর্ষে টুর্নামেন্ট খুবই জাঁকজমক করে হয়েছে। টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেছেন প্রখ্যাত ভারতীয় ফুটবলার মেহেতাব হোসেন। ১৬টি টিম অংশ নিয়েছিল। টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মিলেনিয়াম স্পোর্টিং ক্লাব এবং রানার্স সঞ্চিতা এন্টারপ্রাইজ। সুদৃশ্য ট্রফি ছাড়াও চ্যাম্পিয়ন টিমকে ৮০ হাজার টাকা এবং রানার্স টিমকে ৬০ হাজার টাকা প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সেমিফাইনালে পরাজিত দু’টি টিম প্রগতি সঙ্ঘ ও উদয়ন সঙ্ঘকে ট্রফি এবং ২০ হাজার টাকা করে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হয়। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলদাতা সঞ্চিতা এন্টারপ্রাইজের ইমরান। ফাইনালে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছে মিলেনিয়ামের বিদেশি খেলোয়াড় স্টিফেন। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুকুমার দে, পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল, বরুণ ষড়ঙ্গি, রথিন সরকার, ক্লাবের সভাপতি মিলন মণ্ডল প্রমুখ। ক্লাবের কার্যকরী সভাপতি আজিজুল রহমান, বিকাশ জানা বলেন, এবার টুর্নামেন্টে আফ্রিকার জাম্বিয়া, ঘানা, কেনিয়া সহ ৫-৭টি দেশের ফুটবলারের পায়ের কসরত মানুষকে মুগ্ধ করেছে। ওঁরা সবাই কলকাতার বিভিন্ন নামী ক্লাবে খেলাধুলো করেন। হলদিয়ার মানুষ সারা বছর এই খেলা দেখার জন্য অপেক্ষা করেন। প্রচুর মহিলা খেলা দেখতে আসেন বলে আলাদা গ্যালারি তৈরি করা হয়েছিল।
  • Link to this news (বর্তমান)