• গার্লস স্কুলের দেওয়ালে পাকিস্তানের পতাকা, পোস্টার, বিতর্ক বহরমপুরে
    বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: বহরমপুরের হাতিনগরে পাকিস্তানের পতাকার ছবি দেওয়া পোস্টার পড়ল। শুক্রবার সকালে এই পোস্টার দেখে রীতিমতো উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মহিলাদের নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিকর কথাবার্তা লেখা হয়েছে ওই পোস্টারে। বহরমপুর থানার পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গার্লস স্কুলের দেওয়ালে এই পোস্টার পড়ায় আতঙ্কিত বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা। এই পোস্টার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ যে সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করি সেটা অনেকেই চাইছে না। যে ভাষায় পোস্টার দেওয়া হয়েছে তাতে নারীদের অপমান করা হয়েছে। পুলিস এখনও অপরাধীদের ধরতে পারেনি। আমরা চাই পুলিস দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিক।  বহরমপুর থানার এক অফিসার বলেন, খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। পোস্টারটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা এটা লাগিয়েছে তা আমরা খুঁজে বের করবই। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মহাশ্বেতা রায় বলেন, আমরা থাকাকালীন এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। সুতরাং আমরা কিছুই বলতে পারব না, কারা করেছে। ওদিকে সিসি টিভি ক্যামেরা আছে। কিন্তু ওই ক্যামেরার তার কাটা। ফলে কারা করেছে সেই ফুটেজও ধরা পড়েনি। ক্যামেরাটা যে খারাপ ছিল সেটা আমরা জানতামই না। এখন দেখছি যে ওটার তার কাটা। পুলিস এসেছিল তারা ঘটনাটি দেখছে। যে ভাষায় পোস্টারটি লেখা হয়েছে, তা অত্যন্ত কুরুচিকর মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এটা একটি গার্লস স্কুল। সমস্ত টিচার মহিলা। স্কুলের ছাত্রীরা এবং আমরা আতঙ্কিত। 

    মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি সামাজিক মাধ্যমে পোস্টারটি দেখেছি। এই অশ্লীল পোস্টার যে বা যারা লাগিয়েছে তারা মানুষের পর্যায়ে পড়ে না। এই বর্বরোচিত কাজের জন্য তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এদের ধরে প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া উচিত। এই ধরনের ঘটনা ঘটছে অথচ প্রশাসন চুপচাপ। অপরাধীদের ধরতে না পারলে আগামী দিনে এই জেলা আবার জেহাদিদের হাতে চলে যাবে। তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা অশোক দাস বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ পোস্টার লাগিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিস তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে। আগ বাড়িয়ে বিজেপি নেতাদের ঘোলা জলে মাছ ধরার কোনও প্রয়োজন নেই। মুর্শিদাবাদ জেলায় বরাবর শান্তি সম্প্রীতি বজায় ছিল আছে এবং থাকবে।
  • Link to this news (বর্তমান)