• প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে শিশুদের বাঁচানোর উপায় সিলেবাসে অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব দিল কমিশন
    বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যেকোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয়েই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। অভিভাবককে হারালে তাদের অনেকের পড়াশোনা বন্ধ তো হয়ই, জীবনধারণ নিয়েও প্রশ্ন উঠে যায়। তাই স্কুল স্তর থেকেই যাতে তাদের বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল করা যায়, সেই উদ্দেশ্যে এটিকে সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। সম্প্রতি স্কুল সিলেবাস এক্সপার্ট কমিটির সঙ্গে কমিশনের কর্তাদের একটি বৈঠকও হয়েছে। কমিশনের এক আধিকারিক বলেন,‘ ভূমিধস, বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে শিশু এবং নারীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর দিকগুলির সবচেয়ে বড় শিকারও এরা। আমাদের কাজ শিশুদের নিয়ে। তাই ওদের কথাই আমরা সিলেবাস কমিটিকে বলেছি।’ 

    স্কুল সিলেবাসে পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ মোকাবিলার কিছু বিষয় আগে থেকেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সেগুলিকে আরও সুসংহত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই আধিকারিক বলেন, উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি অঞ্চলে হড়পা বান বা ভূমিধসের সঙ্গে সুন্দরবন এলাকার বন্যা, ভাঙন বা ঘূর্ণিঝড়ের মতো দুযোর্গের ফারাক রয়েছে। তাই এগুলির ক্ষেত্রে কী কী আশু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা উচিত, তা এলাকাভিত্তিক হলেই বেশি কার্যকরী। সেই অনুযায়ী, সিলেবাসেও পরিবর্তন প্রয়োজন। এ নিয়ে কমিশন বেশ কিছু সমীক্ষাও চালাচ্ছে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায়। 

    এ নিয়ে অবশ্য কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসের মতামত পাওয়া সম্ভব হয়নি। রাজ্যের স্কুল সিলেবাস এক্সপার্ট কমিটির চেয়ারপার্সন উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিশু অধিকার রক্ষার বিষয়টি কিছুটা হলেও সিলেবাসে ইতিমধ্যেই রয়েছে। কমিশনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমরা তাঁদের বলেছি, স্কুলশিক্ষা দপ্তরের কাছে সরাসরি প্রস্তাব দেওয়া হোক। সেখান থেকে নির্দেশ এলে পরিবর্তিত সিলেবাসে তা অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে পদক্ষেপ করব।’ 

    সূত্রের খবর, এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে কমিশন।
  • Link to this news (বর্তমান)