• রাধা তিলক ধানকে কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি
    বর্তমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বিসিকেভি) পেল ‘রাধা তিলক’ নামক সুগন্ধী চালের সর্বভারতীয় স্বীকৃতি। শুক্রবার  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক বৈঠকে এই খবর জানান। ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুগন্ধী ধানের গবেষণালব্ধ তথ্য গবেষণা অধিকর্তার সুপারিশসহ কেন্দ্রের উদ্ভিদজাত ও কৃষকের অধিকার রক্ষা সংস্থায় জমা দেয়। প্রাথমিক নির্বাচনের পর রাধা তিলক জাতের বিশিষ্টতা, একরূপতা ও স্থায়িত্ব পরীক্ষা করা হয়। তার ফলের উপর ভিত্তি করে ও এই সুগন্ধী ধানের জাতের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পরবর্তী ধাপে প্লান্ট ভ্যারাইটি জার্নাল অফ ইন্ডিয়া রাধা তিলক জাতের বৈশিষ্ট্য ও উপকারিতা সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করে। এরপর সংশ্লিষ্ট ধাপ পেরিয়ে কেন্দ্রের প্রোটেকশন অফ প্ল্যান্ট ভ্যারাইটি অ্যান্ড ফার্মার্স রাইট অথরিটির তরফে ‘কৃষকের জাত’ হিসেবে রাধা তিলক ধান নিবন্ধীকরণের শংসাপত্র দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত বিসিকেভি মোট পাঁচটি সুগন্ধী চালের উপর এই ধরনের কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পেল। 

    রাধা তিলক চাষে মাস পাঁচেক লাগে। এক বিঘা জমিতে কমপক্ষে ৮-১০ মন ধান হয়। হলুদ রঙের ধানের উপর লালচে বাদামি বিন্দু থাকায় একে রাধা তিলক বলা হয়। 

    এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম সাহা বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ফার্মার্স ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে রাধা তিলক জাতের কেন্দ্রীয় নিবন্ধীকরণ একটা গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। আগামী দিনে এই জাতের বীজ উৎপাদন, চাষের এলাকা প্রসার ও বিপণনের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

    অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় ঘোষ বলেন, এই ধান নদীয়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কিছু অঞ্চলে চাষ হচ্ছে। ২০১৩ সালে ৩০ জনকে নিয়ে শুরু করে বর্তমানে প্রায় আড়াইশো জন কৃষক চাষ করছেন। এই চাষে আগ্রহ ক্রমে বাড়ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)