• ফার্মাসি পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে রহস্য, মুর্শিদাবাদের হস্টেলে উদ্ধার দেহ
    এই সময় | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবাদ চলছে গোটা দেশে। এর মাঝেই এক ফার্মাসি পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হস্টেল রুম থেকে। মৃত পড়ুয়ার নাম রোহিদ করিম(২০)। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।রঘুনাথগঞ্জের মিয়াপুরের একটি বেসরকারি বি ফার্মা কলেজের হস্টেল রুম থেকে এক পড়ুয়া ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনায় কলেজ চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের বাড়ি মালদার সুজাপুর থানা এলাকায়। তিনি ওই বেসরকারি ফার্মাসি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    ঘটনার পরেই পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। বুধবার সেখানেই তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এ প্রসঙ্গে রঘুনাথগঞ্জ থানার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ মৃতের বাবা-মা শনিবার রঘুনাথথগঞ্জ থানায় হাজির হন। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘ছাত্রের বাবা মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, ফার্মাসি পড়ুয়াকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত ১২ অগস্ট রাতে রোহিদর সঙ্গে শেষবার কথা হয় পরিবারের। বাবাকে পরের দিন হস্টেলে আসতে বলেন ওই পড়ুয়া। কিন্তু ১৩ তারিখ সকাল থেকে ছেলের ফোনে সাড়া মেলেনি। হস্টেলের মেঝেতে ওই পড়ুয়ার দেহ পড়েছিল বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। পরিবারের বক্তব্য, কলেজ কর্তৃপক্ষ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্নতে পরিষ্কার সেটা খুনের ঘটনা। এছাড়াও কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে প্রচুর অসঙ্গতি তাঁরা লক্ষ্য করেছেন বলেও দাবি।

    উল্লেখ্য, গত বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকেও এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় উতলা হয় গোটা রাজ্য। পরে তদন্তে জানা যায়, ওই পড়ুয়ার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছিল। হস্টেলে ব়্যাগিং-এর অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
  • Link to this news (এই সময়)