কুখ্যাত বাইক গ্য়াংয়ের দাপাদাপি! সন্ধ্যার পর বাড়ি থেকে মহিলাদের বার হওয়ার জো নেই, লুঠপাঠ শুরু। সম্প্রতি বহরমপুর থানার পুলিশ এই ধরনের গ্যাংয়ের সদস্য আনারুল শেখ ওরফে টাউন শেখকে গ্রেপ্তার করেছে। এই টাউন শেখের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ। মহিলাদের গলা থেকে হার ছিনিয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত সে। পকেটমারিতেও হাত পাকিয়েছিল এই গুণধর।স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসে পকেটমারি দিয়েই অন্ধকার জগতে পা দিয়েছিল আনারুল শেখ। আর পকেটমারিতে তার ‘গুরু’ ছিল হাটপাড়ার এক বাসিন্দা। বহরমপুরে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল আনারুল। কিন্তু, কোনওরকমে সেইবার গণধোলাইয়ের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিল সে। আর তখন থেকেই তার নাম হয় টাউন শেখ, দাবি গ্রামের বাসিন্দাদের। কান্দি বহরমপুরে টোটো, অটোয় পকেটমারি করত সে। কিন্তু, এরপর ধীরে ধীরে ছিনতাইয়ে হাত পাকায় টাউন শেখ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কিছুদিন কান্দি বহরমপুর রাজ্য সড়কের উপর গোকর্ণের ফাঁকা মাঠে ও জীবন্তি হাটপাড়ার মধ্যবর্তী এলাকায় ছিনতাই করত সে। রাজ্য সড়কে বৈদ্যুতিক বাতি লাগার পর থেকেই ছিনতাইয়ের ঘটনা কমেছে। এর মধ্যে আরও একবার জেলও হয়েছিল আনারুলের। কিন্তু, জেল থেকে ফেরার পর সংশোধন তো দূরে থাক আরও দাপটের সঙ্গে চুরি করতে শুরু করে সে। বহরমপুরে মোবাইল, সোনার চেন ছিনতাইয়ের বহু ঘটনার নেপথ্যে হাত রয়েছে এই টাউন শেখের, সন্দেহ পুলিশের।
সম্প্রতি বহরমপুরে মোটরবাইকে ছিনতাইয়ের দাপট বাড়তে শুরু করায় নজরদারি বাড়ায় পুলিশ। বেশ কয়েকজন ধরাও পড়ে। পুলিশের নজর ছিল বাইক চালকদের উপর। টাউন শেখ পুলিশের নজর এড়াতে দিদির স্কুটি ব্যবহার করতে শুরু করে।
কান্দিতে দিদির বাড়িতেই থাকত সে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সেখান থেকেই বহরমপুরের বিভিন্ন এলাকায় অপারেশন চালাত এই কুখ্যাত টাউন শেখ। তার গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশীদের দাবি, দীর্ঘদিন তাঁরা টাউন শেখকে দেখেননি। পরিকল্পনা করেই বারবার আস্তানা বদল করত সে। পুলিশের দাবি, টাউন শেখ কার্যত বহরমপুর টাউনে ত্রাস হয়ে উঠেছিল। তার নামে কান্দি ও বহরমপুর থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার গ্রেপ্তারির পর বাইক গ্যাংয়ের দাপাদাপি অনেকটাই বন্ধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।