• বর্ধমানে 'রাত দখল' করে ফেরার পথে ধর্ষণ-খুন? এবার মুখ খুলল পুলিশ
    আজ তক | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব রুখতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। আরজি করের (RG Kar Hospital Incident) ঘটনার পর ১৪ আগস্ট রাতে মহিলারা রাত দখল কর্মসূচি নিয়েছিলেন। রাজপথে বেরিয়ে এসেছিলেন গোটা দেশের মহিলারা। আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়া তরুণীর হত্যার বিচার চাইতে উত্তাল হয়েছিল গ্রাম থেকে শহর। সেই সময়ই ছড়িয়ে পড়ে একটা গুজব। বর্ধমানের এক ছাত্রী নাকি রাত দখল কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেও প্রচার করা হয়। এই ঘটনা একেবারেই ঠিক নয়, বলে জানিয়ে দিল পূর্ব বর্ধমান পুলিশ (Purba Burdwan Police)।

    সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ পোস্ট করে লিখেছে, 'কিছু লোক গুজব ছড়াচ্ছে যে একটি মেয়ে ১৪ আগস্ট যখন আরজি কর ঘটনার সঙ্গে যুক্ত একটি মিছিলে অংশ নিয়ে বাড়ি ফিরছিল তখন তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে।' এরপরের পোস্টে পুলিশ লিখেছে, 'ঘটনা হল একজন মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনের মতো ঘটনা বর্ধমানে ঘটেনি। এ ধরনের গুজব ছড়ানোর জন্য মানুষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান পুলিশ মহিলাদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' 

    এর আগে শুক্রবার কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। তাতে লেখা হয়েছে, 'আর.জি. কর হাসপাতালের ছাত্রীর সাম্প্রতিক মর্মান্তিক মৃত্যুর মামলার তদন্তে আদ্যন্ত পেশাদারিত্ব এবং সর্বোচ্চ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে কলকাতা পুলিশ, যার ফলে চার দিনেরও কম সময়ে মামলাটির তদন্ত করা সম্ভব হয়েছে। মাননীয় হাইকোর্টের আদেশে আমরা এখন মামলার সমস্ত নথি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করেছি। মৃতার পরিবার যাতে ন্যায়বিচার পান, তা নিশ্চিত করতে আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থাকে সবরকম সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।' সেই বার্তায় আরও লেখা হয়েছে, 'পাশাপাশি এ কথাও বলা প্রয়োজন যে অপরাধের তথাকথিত বিবরণ সম্পর্কে সামাজিক এবং মূলধারার মিডিয়ায় অজস্র গুজব ছড়িয়েছে, যা ইতিমধ্যেই মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন এর চেয়ে বিশদে না গিয়ে আমরা আবারও সকলকে অনুরোধ করব, যাচাই না করে ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। এর ফলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা সে যার দ্বারাই পরিচালিত হোক না কেন।' 

    ১৪ আগস্ট রাত দখল কর্মসূচির মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতিরা। এরপরেই নানা পোস্ট ভাইরাল হয়। তবে সে সমস্ত কিছু সঠিক নয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্ট শেয়ার করার আগে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (আজ তক)