• নির্যাতিতার বাবা
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তরুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল শহর। খুন হওয়ার রাতেও ৩৬ ঘণ্টা টানা রোগীদের পরিষেবা দিয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। নিহত ছাত্রীর বাবা-মা তাদের মেয়ের ওপর অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ তুলেছেন। এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা। মৃতার বাবার সন্দেহ যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেইখানে হয়তো মেয়েকে মারাই হয়নি, অন্য কোনও ঘরে মেরে তারপর ওই ঘরে আনা হয়েছে।

    মৃতার পরিবারের সন্দেহ, পুরো ডিপার্টমেন্ট এর জন্য দায়ী। অনেক বড় চক্র এর সঙ্গে জড়িত। নির্যাতিতার বাবা আরও গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন, 'মেয়ে সিনিয়র ডাক্তারদের থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পেত না, যা তার পেশাগত জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করেছিল।' তিনি অভিযোগ করেন, পাঁচজনের ডিউটিতে চারজন পুরুষের সঙ্গে তার মেয়েকে একা রাখা হত, যা তার জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

    আগেই নির্যাতিতার মা অভিযোগ করেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে যেতে মেয়ের ভালো লাগত না এবং কাজ ঠিকমতো করতে পারছিল না। তিনি আরও জানান, মেয়ে প্রায়ই বলত, 'আমার আরজি করে যেতে ভাল লাগে না।' এবিপি আনন্দে নির্যাতিতার মা জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন প্রথমে তাঁদের কাছে ফোন আসে মেয়ে অসুস্থ বলে। বারবার তিনি জানতে চান, কী হয়েছে আমার মেয়ের, কী হয়েছে আমার মেয়ের। উল্টোদিকের কণ্ঠ বলে ওঠে, আমি কী করে জানব, আমি কি ডাক্তার নাকি!

    তড়ঘড়ি উৎকণ্ঠা নিয়ে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। তারই মাঝে আবার ফোন। এবার অ্যাসিসট্যান্ট সুপারের ফোন। 'আপনাদের মেয়ে সুইসাইড করেছে'। ঘড়িতে তখন ১০ টা ৫৩। হাসপাতালে পৌঁছে আকুল হয়ে বসেছিলেন, মেয়েটার মুখ দেখার জন্য। কিন্তু সেখানে বসেই কেটে যায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বলা হয়, বসুন তদন্ত চলছে। মেয়ে আর নেই, জেনেও বুকে পাথর রেখে অপেক্ষাই করে যেতে হয় তাঁদের। সেই সময় হাসপাতালের কোনও ঊর্ধ্বতনই তাঁদের সঙ্গে এসে কথা বলেননি। 

    এদিকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই, আন্দোলনকারী ও বিরোধীদের নিশানায় সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। যাঁকে আগেই ছুটিতে যেতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, আর এবার তাঁকে 'প্রভাবশালী' বলেছেন প্রধান বিচারপতি। শুক্রবার থেকেই দফায় দফায় ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাঁর 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)