জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। তারই মধ্যে আচমকা ৪৩ জন চিকিত্সককে বদলির নির্দেশ জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দফতর। কী কারণে এই বদলি? আন্দোলনে সামিল হওয়ার জন্যই কি এই সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্যভবনের? তুঙ্গে জল্পনা।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাত্ শুক্রবার রাতে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সরকারি বিধি মেনে সেই বিজ্ঞপ্তিতে ‘রাজ্যপালের ইচ্ছায় দায়িত্ব’ দেওয়ার বার্তা রয়েছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বদলি কেবল রুটিন বদলি।
এই ৪৩ জন চিকিত্সক রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কর্তব্যরত ছিলেন। আচমকা এই সিদ্ধান্তে চিকিত্সক মহল অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। চিকিত্সক মহলের একাংশের আশঙ্কা, এই ৪৩ জন আন্দোলনের মুখ ছিলেন। সেই কারণের জন্যই এই বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকতে পারে। তবে সরকারিভাবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ কিছু জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেল তিনটের সময় রাস্তা থেকে পাকড়াও করে সিবিআই দফতরে আনা হয় আরজিকরের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে। সিজিওতে রাতভর সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ। গতকাল দুপুর থেকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। ব্রেক থ্রুর খোঁজে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সন্দীপকে কি গ্রেফতার করবে সিবিআই? জল্পনা তুঙ্গে।
আরজি কর কাণ্ডে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে শুক্রবারই জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে সিবিআই। তবে আগেই তিনি পুলিসি নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। নিজের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টে ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছেন সন্দীপ।
সিবিআই সূত্রে খবর, তার বয়ানে ছিল একাধিক অসংগতি। আরজি ঘরে ঘটনার দিন রাতে যারা ডিউটি করছিল ওয়ার্ডবয়, নার্স, নিরাপত্তারক্ষী- তাদেরকেও ডেকে পাঠানো হয় সন্দীপ ঘোষের বয়ানের সঙ্গে তাদের বয়ান মিলিয়ে দেখার জন্য। পাশাপাশি টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডল ও আরজি করের ঘটনার আইও সুব্রত চট্টোপাধ্যায় তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।