• প্রান্তিক এলাকা থেকে এসেও মিলছে না চিকিৎসা, চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে চরম ভোগান্তি
    প্রতিদিন | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে চিকিৎসক সংগঠন আইএএম। তার জেরে দেশজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে আউটডোর পরিষেবা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সব জায়গাতেই চিত্রটা এক। দুর্ভোগের মুখে পড়েছে রোগী ও তাঁদের পরিবার। প্রান্তিক এলাকা থেকে এসে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা। 

    তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত রাজ্য। দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। দোষীদের গ্রেপ্তার ও সব্বোর্চ শাস্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে চিকিৎসক সংগঠন আইএএম। শনিবার সকালে দিল্লি এমসে ফ্যাকাল্টি সদস্যরা কর্মবিরতি করেন। এছাড়াও বহু চিকিৎসক নিজেদের বেসরকারি চেম্বার বন্ধ রেখেছেন।

    জাতীয় স্তরের পাশাপাশি, রাজ্যের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, আসানসোল, হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল ও নির্যাতিতা তরুণীর চিকিৎসকের প্রাক্তন কলেজ কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল-সহ একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা। তাতে ভোগান্তি বাড়ছে রোগীদের। তবে অনেক জায়গায় জরুরি বিভাগ চালু রয়েছে।

    কোচবিহার এমজেএন মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতাল আউটডোর বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও জেলায় বেসরকারি ডাক্তারের চেম্বারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের আইএমএ-এর সদস্য চিকিৎসক কুশল ভৌমিক বলেন, “আর জি কর হাসপাতালে তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে আউটডোর বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি পরিষেবা চালু আছে। শনিবার সকাল থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত এই পরিষেবা বন্ধ থাকবে। আশা করছি মানুষ আমাদের পাশে থাকবে।”

    আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে শনিবার ও রবিবার আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানেও চালু রয়েছে জরুরি বিভাগ। একই অবস্থা আসানসোল জেলা হাসপাতালেও। আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, “আমাদের হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে। অতিরিক্ত নার্স ও চিকিৎসক দেওয়া হয়েছে। ইনডোর পরিষেবা চালু রয়েছে। এখনও পর্যন্ত রোগীদের থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি। আউটডোরে চিকিৎসকরা বসেননি।”

    এদিকে হুগলির চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে কর্মবিরতিস পালন করা হচ্ছে। এমারজেন্সি বিভাগের পাশে বাঁধা হয়েছে মঞ্চ। সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তারমধ্যেই যেখানে মঞ্চ হয়েছে সেখানেই টেবিল পেতে রোগী দেখছেন তাঁরা। এক চিকিৎসক বলেন, “ঘটনায় যুক্ত দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।” তরুণীর প্রাক্তন কলেজ জেএনএম হাসপাতালেও বন্ধ রয়েছে আউটডোর পরিষেবা। শুধু আজকের বন্ধ নয়, ৮ দিন যাবৎ চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রয়েছে এখানে। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)