আরজি করের নৃশংস ঘটনার আঁচ পড়েছে গোটা দেশে। কর্মস্থলে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দাবি চেয়ে কর্মবিরতি চলছে দেশজুড়ে। তবে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ মনে করছেন, কিছু মানুষ এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বাংলার বিরুদ্ধে অপ্রচারের রাজনীতি করছে।ABVP-র বিক্ষোভপ্রসঙ্গত, শনিবার দিল্লির বঙ্গভবনের সামনে আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদে নামে ABVP। ‘কেন ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না অপরাধীদের?’ প্রশ্ন তুলে রাজধানীর রাজপথে নামে ABVP-র ছাত্ররা। পুলিশের সঙ্গে বঙ্গভবনের সামনে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তাদের। ধস্তাধস্তি হয় দু'পক্ষের মধ্যে।
বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বঙ্গভবনের সামনে জমায়েত করে ABVP সদস্যরা। মিছিল করে এগোতেই তাদের আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় দিল্লির হ্যালি রোড। ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে ABVP সদস্যরা। পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যায় দিল্লি পুলিশের। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে পুলিশের সঙ্গে মাঠে নামতে দেখা যায় আধা সামরিক বাহিনীকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় ABVP আন্দোলনকারীরা।
কুণাল ঘোষের বক্তব্যএ দিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ বলেন, 'আমরাও প্রতিবাদী। দোষীদের ফাঁসি চাই। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাংলার বিরুদ্ধে শকুনের রাজনীতি করছে বামরাম।' তাঁর আরও সংযোজন, 'জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব রুখতে লড়াইতে নেতৃত্বে দিচ্ছেন। সেনাপতি অভিষেককেও সক্রিভাবে সামনে চাই। আমাদেরও কিছু ভুল শুধরে সঠিক পদক্ষেপে সব চক্রান্ত ভাঙতেই হবে।'
'বামরামের' বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বাম এবং বিজেপি কুৎসা এবং অপ্রচার করছে বলে শুক্রবারই অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি আরজি কর ইস্যুতে দুই দলকেই দুষেছেন। এমনকী, তাঁর কণ্ঠস্বর এবং ছবি ব্যবহার করে AI ভিডিয়ো ছড়িয়ে অপ্রচার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ মমতার। গত বুধবার মধ্যরাত আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের পিছনেও বাম এবং বিজেপি দায়ী বলে উল্লেখ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।