আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একজন নয়, একাধিক অপরাধী যুক্ত – এমনটাই বারবার জানিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের মা-বাবা। এবার নতুন এক সন্দেহ প্রকাশ করলেন তাঁরা। ওই সেমিনার হলেই কি তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল? নাকি অন্য কোথাও হত্যা করে সেমিনার হলে দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে? প্রশ্ন তুললেন তাঁরা।শনিবার মৃত চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘আমার তো এখন মনে হচ্ছে ওখানে যে খুন করা হয়েছিল, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।’ তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে কি অন্য ঘরে খুন হয়েছে?’ তাঁর উত্তর, ‘হতে পারে। হয়তো তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই এটা হয়ে থাকতে পারে।’
এই ঘটনার পেছনে পুরো ফুসফুস এবং বক্ষরোগ বিভাগ থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মৃতার বাবা। তাঁর দাবি, ‘ডিপার্টমেন্টের গাফিলতি যদি না থাকতো, এই ঘটনা ঘটত না।’ ইন্টার্নদের মধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে তার একটি নামের তালিকা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও একটি মহল থেকে প্রচার করা হচ্ছিল। যদিও সেই ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন মৃতার বাবা।
মৃতার মায়ের স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমার মেয়ের মরদেহ দেখে কখনোই মনে হয়নি একা একজন ব্যক্তির পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব।’ এমনকী ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের আধিকারিকরাও তাঁর বাড়িতে এসে একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার কথা বলেছেন। গোটা ঘটনার পিছনে একটা বড় চক্র কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা।
কলকাতা পুলিশের থেকে তদন্ত ভার এখন গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। গত মঙ্গলবার থেকে এই ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে মৃত চিকিৎসকের বাবা বলেন, ‘সিবিআই তদন্ত করছে। ওদের উপর আমাদের আস্থা আছে। আমরা শুধু বিচার চাই।’ এদিন তিনি ফের জানান, হাসপাতালে সেদিন মৃত মেয়ের দেহ দেখাতে অনেকটাই দেরি করা হয়েছিল। মৃত চিকিৎসকের বাবা জানান, পুলিশ প্রথমে কিছু অসহযোগিতা করেছিল, কিন্তু পরে তদন্তে গতি এনেছিল।