• চূড়ান্ত বিপদসীমার উপরে বইছে জল, গঙ্গায় জারি লাল সর্তকতা
    এই সময় | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • এই সময়, মালদা: গঙ্গার জলস্তর মালদায় চূড়ান্ত বিপদসীমা (২৫.৩০ মিটার) ছুঁয়ে ফেলল। গঙ্গায় লাল সতর্কতা জারির পাশাপাশি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মালদার মানিকচক, রতুয়া-১ এবং কালিয়াচক-৩ ব্লক গঙ্গার জলে প্লাবিত। অন্য দিকে, চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মানিকচক ব্লকের।এই ব্লকে ভূতনি চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত উত্তর চণ্ডীপুর, দক্ষিণ চণ্ডীপুর এবং হীরানন্দপুর সমেত মূল ভূখণ্ডের গোপালপুর ও মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বড় অংশে গঙ্গার জল ঢুকে গিয়েছে। ভূতনিতে উত্তর চণ্ডীপুরের কালুটনটোলায় রিং বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হুহু করে গঙ্গার জল ঢুকছে। বাঁধের উপরেই বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও হাইস্কুলে ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বাঁধে যাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা পরিবার পিছু একটি করে ত্রিপল পেয়েছেন।

    যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা অতিরিক্ত ত্রিপল কিনেছেন। কিন্তু বেশির ভাগেরই সেই সামর্থ্য নেই। তাঁরা সাংবাদিক দেখে প্রশ্ন করছেন, একটা ত্রিপল দিয়ে জিনিস ঢাকবেন, গবাদি পশুকে আশ্রয় দেবেন নাকি নিজেদের মাথা বাঁচাবেন! স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ভূতনির বানভাসিদের জন্য ১৪ জনের বিশেষ মেডিক্যাল টিম গঠন করে বিভিন্ন জায়গায় মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।

    এ দিন কালুটনটোলায় গিয়ে দেখা গিয়েছে, সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে নেটের ভিতর বালির বস্তা ভরে বাঁধের ভাঙা অংশে নৌকো থেকে ফেলা হচ্ছে। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোর বক্তব্য, গত বর্ষায় বাঁধের ঠিক এই জায়গাটা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। সেটা মেরামতি না করে সেচ দপ্তর নতুন বাঁধের পরিকল্পনা করে বসে আছে।

    অথচ শীতের সময়ে সেই জায়গাটা মেরামতি করে দিলেই এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। জেলা কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় সাড়ে আটশো হেক্টর কৃষিজমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আর এর বেশির ভাগটাই হয়েছে মানিকচক ব্লকে।
  • Link to this news (এই সময়)