• হাতির সঙ্গে 'পশুর আচরণ' মানুষের! ৬ ফুটের জ্বলন্ত লোহার শলাকা দিয়ে ‘মেরে ফেলল’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • একটি হাতিকে নির্মমভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠল হুলা পার্টির সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, একটি ৬ ফুটের জ্বলন্ত লোহার শলাকা হাতির পিঠে বেঁধে দেওয়া হয়। তার ছেড়ে কার্যত হাতির মেরুদন্ড ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। তখন যন্ত্রণায় ছটফট করার পাশাপাশি পিছনের পায়ে হাঁটতে অক্ষম হয়ে পড়ে হাতিটি। শেষপর্যন্ত হাতিটি মারা যায়। এই ঘটনায় বনকর্মী এবং হুলা পার্টির সদস্যের ওপর চড়াও হয় ক্ষুব্ধ জনতা। বন বিভাগের একটি গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি বন কর্মীদের মারধর করে তারা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে। এরকম নির্মমভাবে হাতিকে হত্যার ঘটনায় সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা।

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ঝাড়গ্রামের ধরমপুর গ্রাম থেকে পাঁচটি বুনো হাতির একটি দল বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকায় ঢুকে পড়ে। সেখানে অনুপ মল্লিক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দাকে সামনে পেয়ে একটি হাতি শুঁড়ে পেঁচিয়ে আছাড় মারে। তার ফলে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। এই ঘটনার পরে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। এরপর স্থানীয়রা এক জোট হয়ে হাতিকে তাড়া করে। তখন ধরমপুরের জঙ্গলে হাতিটি পালিয়ে যায়।

     এদিকে বাকি হাতিগুলি ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের কার্যালয়ের পাঁচিল টপকে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। সেই সময় হাতি তাড়ানোর জন্য ছিলেন বনকর্মীরা। পাশাপাশি ছিল হুলা পার্টির তিনটি দল। সেই সময় তাড়াতে গিয়ে জঙ্গলের ভিতরে পরিত্যক্ত একটি বাড়ির ছাদ থেকে হাতির ওপরে জ্বলন্ত লোহার শলাকা ছোড়া হয়। সেটি বিঁধে যায় হাতির পিঠে । হাতিটি যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে। প্রায় ৫ মিনিট ধরে এরকম থাকার হাতিটি শুঁড়ে করে শলাকাটি বের করে ফেলে।

    কিন্তু, পিছনের পা অসাড় হয়ে পড়ায় হাতিটি অক্ষম হয়ে পড়ে। শেষমেষ হাতিকে চিকিৎসার জন্য জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, বাঁচানো সম্ভব হয়নি।  হাতির এমন পরিণতির জন্য হুলাপার্টিকে দায়ী করে ক্ষুব্ধ ওঠেন স্থানীয়রা। এরপর তারা ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)