• মীনাক্ষী–সহ সাতজন যুবনেতাকে তলব করল লালবাজার, আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের জের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। সেই রাতেই ভাঙচুর করা হয় আরজি কর হাসপাতাল। এই ঘটনায় সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং বিজেপির নাম জড়িয়ে গিয়েছে। কারণ জিওয়াইএফআই তাদের পতাকা নিয়ে সেখানে হাজির ছিল বলে ভিডিয়ো’‌তে ধরা পড়েছে। যেখানে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় দলবল নিয়ে হাজির ছিল বলে অভিযোগ। এবার আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়–সহ সাতজন বাম নেতানেত্রীকে তলব করল লালবাজার। এই ভাঙচুরের ঘটনায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়–সহ এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের সাতজন নেতাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নানা ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে এখন তদন্ত করছে সিবিআই। তবে এই হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সিপিএম–বিজেপির যোগসাজশের কথা তুলেছিলেন। বাম–রামের আঁতাতেই আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ শনিবার এই ঘটনা নিয়ে তলব করা হয়েছে তাঁদের।

    এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভুয়ো তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগ এবার দুই প্রবীণ চিকিৎসককেও তলব করতে চলেছে লালবাজার। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে তছনছ করে দেয় তারা। ভাঙচুর করে দামি মেশিন–সহ পরিকাঠামে। নষ্ট করে দেয় বহুমূল্য ওষুধ। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরা। আহত বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী এবং মহিলা পুলিশকর্মী। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থকে। এসবের নেপথ্যে বাম–রাম যোগ আছে বলেই তলব করা হয়েছে।

    যেদিন রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল নাগরিক সমাজ সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল। শুক্রবার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র সমালোচনা করেন বাম–বিজেপি নেতৃত্বের। তারপরই আজ, শনিবার তলব করা হয় এসএফআই ও ডিওয়াইএফআইয়ের সাতজন নেতাকে। তবে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে প্রেস ক্লাবে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের নিন্দা করেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‌নজর থাকবে সিবিআইয়ের দিকেও। কারণ, সিবিআইয়ের ট্র্যাক রেকর্ড ভাল নয়। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত বামেদের আন্দোলন যে চলবে। যারা হাসপাতাল ভাঙচুর করেছে তারা সভ্য সমাজের নয়।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)