• আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ, ১০০ জন পেল লালবাজারের নোটিশ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা খবর ছড়িয়ে পড়েছে। যেগুলির মধ্যে ভুয়ো খবরের সংখ্যাই সর্বাধিক। আর এই ভুয়ো খবরের জেরেই প্ররোচিত হয়ে একদল লোক আরজি কর হাসপাতালে মাঝরাতে হামলা করেছে বলে দাবি করেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এআই–এর মাধ্যমে ভিডিয়ো তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ভুয়ো খবর ছড়ানো নিয়ে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে লালবাজার। ইতিমধ্যেই ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে ১০০ জনকে নোটিশ পাঠাল কলকাতা পুলিশ।

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নানা ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‌আমার গলার স্বর, ছবি ব্যবহার করে এআই দিয়ে ভিডিয়ো তৈরি করা হচ্ছে। সেসব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।’‌ আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে এখন তদন্ত করছে সিবিআই। তার মধ্যে এমন ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ায় তদন্ত দিকভ্রান্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। এই ভুয়ো খবর থেকে প্ররোচনা তৈরি হচ্ছে।

    এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভুয়ো তথ্য’ ছড়ানোর অভিযোগ এবার দুই প্রবীণ চিকিৎসককেও তলব করতে চলেছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, এদের মধ্যে এক চিকিৎসক দাবি করেছিলেন যে, ঘটনাস্থল থেকে নাকি ১৫০ গ্রাম সিমেন পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সে কথার উল্লেখ রয়েছে। ওই চিকিৎসক এই তথ্য কোথা থেকে পেলেন সেটা জানতেই তাঁকে নোটিশ পাঠানো হবে। আগে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলও জনসাধারণকে ভুয়ো খবর না ছড়াতে সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানান, কোনও ভুয়ো পোস্ট দেখলেই নোটিশ পাঠাবে লালবাজার। গত বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুর চালানোর পিছনেও বাম এবং বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    যেদিন রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল নাগরিক সমাজ সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল। বুধবার মাঝরাতের ঘটনায় সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই–এর সাধারণ সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়–সহ মোট সাতজন বাম নেতা–কর্মীকে ডেকে পাঠিয়েছে লালবাজার। ভাঙচুর চালানোর অভিযোগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। সব মিলিয়ে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০। সেদিন রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করে সন্ধান চেয়েছে লালবাজার। তারপরই ধরা পড়তে শুরু করে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)