• RG কর কাণ্ডে তদন্তকারীদের খাতায় বহু চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নাম, খতিয়ে দেখছে CBI
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • মেয়ের খুনের ঘটনায় জড়িত থাকাতে পারে, হাসপাতালের এমন বেশ কয়েক জন চিকিৎসক এবং ইন্টার্নের নাম সিবিআইকে জানিয়েছেন মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, তাঁদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন। এই আবহে মৃত চিকিৎসকের সঙ্গে কাজ করতেন, এমন কয়েক জনের নাম সিবিআইকে জানিয়েছেন তাঁরা। এমনকী তাঁদের সন্দেহ করার কারণও জানিয়েছেন। এদিকে সিবিআই জানিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের বাবা-মা যাঁদের নাম বলেছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন, এমন অন্তত ৩০ জনকে চিহ্নিত করেছে সিবিআই। শুরু হয়েছে তাদের জেরার প্রক্রিয়া।

    এদিকে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নির্যাতিতার মা বলেন, 'যখন ওই সিজার লিস্ট হয়, সেখানেও আমি বসেছিলাম। তখন পুলিশ কেসটা ঘোরানোর জন্য আমার মেয়ের ব্যাগ থেকে কতগুলো রিপোর্টও বের করে আমায় দেখায়। আমাকে বলা হয়, মেয়ে তো অসুস্থ ছিল। এত ওষুধ খেত। তখন আমি বললাম যে না, আমার মেয়ের একটা আন-নন বাইট হয়েছিল আগের সপ্তাহে। ও ওইজন্য ওই ট্রিটমেন্ট, ওই রিপোর্টগুলি করিয়েছিল। সেদিন ওর ওপিডি ডিউটি ছিল। ওপিডিতে এমআর ওই ওষুধগুলো দিয়েছিল। তারপর আর ঘোরাতে পারেনি।'

    প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তাঁর পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তাঁর মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তে নাকি জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণীকে। এদিকে সেই চিকিৎসকের গলাতেও ক্ষত ছিল বলে জানা যায়। রাত তিনটে থেকে সকাল ছ'টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মেলে ছোপ রক্তের দাগ। এই সবের মাঝে সঞ্জয় রায় বলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই ঘটনা মূল অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এমনকী 'ভিতরের লোক' জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)