• 'ভুল শুধরে...', সন্দীপ ঘোষের 'বদলি' নিয়ে এবার বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ আগস্ট ২০২৪
  • এর আগে বারংবার আরজি কর কাণ্ডে বিরোধীদের চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছিলেন। আবার ভাইরাল অডিয়োর প্রসঙ্গ তুলে ধরে তদন্তের দাবি করেছিলেন। তবে মোটামুটি তৃণমূলের 'পার্টি লাইন' ধরেই এতদিন কথা বলে এসেছিলেন কুণাল ঘোষ। যেখানে 'রাত দখলের' ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়, শান্তনু সেনরা। তবে এবার বেসুরো হলেন কুণাল ঘোষকেও। সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।

    আজ দুপুর নাগাদ কুণাল ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে লেখেন, 'আমরাও প্রতিবাদী। দোষী/দের ফাঁসি চাই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস ও বাংলার বিরুদ্ধে শকুনের রাজনীতি করছে বামরাম। জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসব রুখতে লড়াইতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সক্রিয়ভাবে সামনে চাই। আমাদেরও কিছু ভুল শুধরে সঠিক পদক্ষেপে সব চক্রান্ত ভাঙতেই হবে।'

    নিজদের পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ চ্যানেলকে কুণাল ঘোষ বলেন, 'আরজি করের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা নিন্দনীয়। তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতাদি সেটা প্রথম থেকেই স্পষ্ট করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বিষয়টি বোঝাচ্ছে। বাম-রাম শকুনির রাজনীতি করছেন। কিন্তু এই লড়াইতে মমতা বন্দ্যোরাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও সক্রিয় ভাবে চাই ময়দানে। ভুল কারা করেছে, তা বেরিয়ে আসুক। তদন্ত হবে। যারা দোষী, তারা ধরা পড়বে। সন্দীপ ঘোষ দোষী কি দোষী না, তা আমরা বলতে পারি না। তবে ছাত্রছাত্রীদের তাঁকে নিয়ে ক্ষোভ হয়েছে। এই আবহে ২ ঘণ্টার মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে যেভাবে আরজি কর থেকে অব্যহতি দিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে নিয়োগ করা হল, তাতে ভুল বার্তা গিয়েছে। মানুষ ভাবছে, তাহলে কি আড়াল করা হচ্ছে? মানুষ আমাদের ভুল বুঝেছে। বাম-রাম উস্কে দিয়েছে। তাই সংগঠনকে রাস্তায় নামাতে অভিষেককে মাঠে চাই।'

    উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে চিকিৎসকের মৃত্যুর পরে পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। চাপের মুখে হাসপাতালের প্রিন্সিপালের পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। এমনকী 'অপমানিত' সন্দীপ বলেছিলেন, তিনি সরকারি চাকরিই ছেড়ে দিচ্ছেন। তবে সেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে 'ভালো ছেলে' আখ্যা দিয়ে জানিয়েছিলেন, সন্দীপকে অন্যত্র বহাল করা হবে। সেই মতো আরজি করের দায়িত্ব ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সন্দীপকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের দায়িত্বে আনার ঘোষণা করা হয়। রিপোর্টে তো দাবি করা হয়েছিল, সন্দীপকে যে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে 'বদলি' করা হবে, সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। এই আবহে হাই কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)