এই সময়, ঝাড়গ্রাম: জ্বলন্ত শলাকায় বিদ্ধ হয়ে ঝাড়গ্রামে মা হাতির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশে এফআইআর দায়ের করল বন দপ্তর! পাশাপাশি, হাতি মৃত্যুর ঘটনায় দলমত নির্বিশেষে রবিবার বিকেলে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হওয়ার ডাক দিল ‘কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গ’।
পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদ থেকে মা হাতির পিঠে কে জ্বলন্ত লোহার শলাকা বিদ্ধ করল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বলে দাবি করেছে বন দপ্তর। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ।ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।’ ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, ‘এ দিন হাতিটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। কিছু লোককে আমরা ভিডিয়ো এবং ছবিতে দেখেছি। পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। বন্যপ্রাণী হত্যার আইন অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয়েছে।’
কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘অরণ্যচারী বনবাসী মানুষজন হাতিকে দেবতা জ্ঞানে গণ্য করেন। তাঁরা হাতির পুজো করেন। হাতি মানুষের প্রাণ নিলেও তাঁরা কখনও হাতিকে আক্রমণ করে না। বনদপ্তরের পরিকল্পনাহীনতার জন্য হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। এর দায় বনমন্ত্রীকে নিতে হবে। বনমন্ত্রী ও ডিএফওকে বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করতে হবে।'
ঘটনাস্থল থেকে কয়েক’শো মিটার দূরে বাড়ি রাজ্যের বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার। তিনি বলেন, ‘সে দিন আমি বন দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে সারাদিন যোগাযোগ রেখেছিলাম। বন দপ্তরের নিষেধ সত্ত্বেও কিছু লোক ভিড় করেছিল আর ওই সময় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটে। মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা পুলিশে এফআইআরও করেছি। আমি চাই, যে দোষ করেছে, সে কড়া শাস্তি পাক।’ তারপরেই মন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করছেন।’