• 'ভোলেবাবা উপযুক্ত শাস্তি দিন', তারকেশ্বরেও এবার আছড়ে পড়ল We Want Justice...
    ২৪ ঘন্টা | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • নির্মল পাত্র: কথিত আছে শ্রাবণ মাসে বাবা মহাদেবের পুজো দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। শ্রাবণ মাসের শেষ দিনে পূজা দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত একদল ছাত্রী, তবে নিজেদের জন্য নয় তিলোত্তমার খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির কামনা করে।

    আজ শ্রাবনের শেষ দিন গোটা শ্রাবণ মাস জুড়ে ভক্তদের ঢল নেমেছিল তারকেশ্বর মন্দিরে, শেষ দিনেও একই চিত্র। অন্যান্যদের মত তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে এসেছিলেন বর্ধমান ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত একদল ছাত্রী। তাদের সঙ্গে কথা বলেই জানা গেল পুজো দেওয়ার আসল কারণ।

    পুজো দিতে আসা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরতা পায়েল চট্টোপাধ্যায় বলেন, বাবা মহাদেবের কাছে পুজো দিতে আসার কারণ তিলোত্তমার পৈশাচিক হত্যার পিছনে যাদের হাত আছে তারা যেন দ্রুত ধরা পড়ে এবং উপযুক্ত শাস্তি পায়। এরকম মর্মান্তিক ঘটনা যেন আর না ঘটে। মহাদেবের কাছে প্রার্থনা যে সব মেয়েরা এখনও বেঁচে আছে তাদের বাবা তারকনাথ রক্ষা করুন।

    ভগবান মহাদেব এমন একটা মিরাকেল করুন যাতে তিলোত্তমার দোষীরা ধরা পড়ে যায়। রাজ্যে শান্তি ফিরুক,মেয়েদের নিরাপত্তা ফিরুক। সমাজে এখনও যে সব  পৈশাচিক আছে যারা সমাজে মিশে আছে যারা মেয়েদের শুধু শারীরিক নয় মানসিক ভাবে অত্যাচার করে তাদের পরিবার যেন সুশিক্ষিত করে মেয়েদের সন্মান দেওয়ার ব্যাপারে। তাদের আরও দাবি সমাজে মেয়েরা সুরক্ষিত নয়,মেয়েরা নিজেরাই নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রস্তুত করুক।

    অন্যদিকে, রুণী চিকিত্সককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই উত্তাল শহর। খুন হওয়ার রাতেও ৩৬ ঘণ্টা টানা রোগীদের পরিষেবা দিয়েছিলেন ওই মহিলা চিকিৎসক। নিহত ছাত্রীর বাবা-মা তাদের মেয়ের ওপর অতিরিক্ত কাজের চাপের অভিযোগ তুলেছেন। এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন নির্যাতিতার বাবা। মৃতার বাবার সন্দেহ যে ঘর থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেইখানে হয়তো মেয়েকে মারাই হয়নি, অন্য কোনও ঘরে মেরে তারপর ওই ঘরে আনা হয়েছে।

    হাসপাতালে চলত বিশাল চক্র। এমনটাই দাবি করা হয়েছে নির্যাতিতার বাবার তরফে। এবার মৃত চিকিত্সকের ডাইডি সিজ করল পুলিস। এমনটাই জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। নির্যাতিতার বাবার দাবি হাসপাতালে  একটি বিশাল চক্র কাজ করতে। সেইসব কথা মেয়ে লিখে গিয়েছে। ধৃত সঞ্জয় রায় একমাত্র দোষী নয় পেছনে আরও অনেকে আছে। এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার বাবার। ওই ডাইরি পুলিস সিজ করেছে।

    ডাইরিতে ঠিক কী লেখা হয়েছে তা বলেননি নির্যাতিতার বাবা। তবে তিনি বলেছেন মেয়ে রোজ ডাউরি লিখতো। হাসপাতালে  প্রবল চাপ ছিল। মেয়ের ডিপার্টমেন্টের লোক তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছিল।

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)