সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital)তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ‘এনকাউন্টার’ দাওয়াই দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে অবশ্য তাঁকে তেমন দেখা যায়নি এই সংক্রান্ত বিভিন্ন দলের কর্মসূচিতে। এমনকী কলকাতায় পথে নেমে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলেও শামিল হতে দেখা যায়নি তাঁকে। এনিয়ে শনিবার তৃণমূল (TMC) নেতা কুণাল ঘোষ শনিবার সকালেই অভিষেকের ‘সক্রিয়’ হওয়া নিয়ে পোস্ট করেছিলেন। আর বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি স্পষ্টই বললেন, ”অভিষেক একটু নিষ্ক্রিয়। বৃহত্তর লড়াইয়ে তাঁকে সেভাবে পাচ্ছি না। আমরা, দলের সৈনিকরা তাঁকে অনুরোধ করেছি, সক্রিয়ভাবে পাশে চাই।”
খাস কলকাতার বুকে চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনার গোড়া থেকেই অত্যন্ত কড়া অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন এবং শাসকদল। দোষীদের নাগালে পেতে পুলিশও বেশ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছিল। মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ঘটনার দিন অকুস্থলে হাজির থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তের মাঝপথেই তা তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর (CBI) হাতে। এই পরিস্থিতিতে শাসক শিবিরের অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। তবে এসব নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নীরবতা প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশে।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সে বিষয়ে আলোকপাত করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, ”দল ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানে কোনও ফারাক নেই। তবে অভিষেক দলের কাজকর্ম থেকে একটু সরে গিয়েছেন। লোকসভা ভোটের পর থেকে তিনি ডায়মন্ড হারবার নিয়ে ব্যস্ত। দলের কাজে কিছুটা নিষ্ক্রিয়। আমরা, তাঁর সৈনিকরা অনুরোধ করেছি যে তাঁকে আমরা সক্রিয়ভাবে পাশে চাই। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে লড়ছি। কিন্তু অভিষেকের সেনাপতিত্বেও থাকতে চাই। যদিও তিনি সমস্ত খবরাখবর রাখছেন, নিয়মিত সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আশা করি, দ্রুতই অভিষেককে সক্রিয়ভাবে পাশে পাব।”