তদন্তের মোড় ঘোরাতে তথ্য বিকৃতি? জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন
প্রতিদিন | ১৮ আগস্ট ২০২৪
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের(RG Kar Medical College & Hospital) তরুণী চিকিৎসকের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল জাতীয় মহিলা কমিশন। পেশ করা রিপোর্টে আশঙ্কা, তদন্তের মোড় ঘোরাতে পুলিশই নানা তথ্য বিকৃত করেছে। দেহ উদ্ধারের পরেও কেন সেমিনার হল তড়িঘড়ি সিল করা হল না, সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,১. আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার জায়গার অভাব রয়েছে।২. সেমিনার হল লাগোয়া জায়গায় সংস্কারের কাজ চলছে। পরিকল্পনামাফিক স্রেফ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হয়েছে।৩. অভিশপ্ত রাতে ওই হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। শুধু একদিনই নয়। ওই হাসপাতালে নাইট শিফটে কর্তব্যরত ইন্টার্ন, চিকিৎসক এবং নার্সদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত নেই।
৪.তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের সময় অধ্যক্ষ ছিলেন সন্দীপ ঘোষ। তা সত্ত্বেও কেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল না পুলিশ?৫. মহিলা চিকিৎসক কিংবা চিকিৎসা কর্মীদের জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। এমনকী কোথাও কোথাও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থাও নেই।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সকালে হাসপাতালে সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। ১০ আগস্ট জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি লিখে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। গত ১২ আগস্ট কলকাতায় আসেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই সদস্য দেলিনা খণ্ডুপ এবং সোমা চৌধুরী কলকাতায় আসেন। ঘটনাস্থল-সহ গোটা হাসপাতালের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এর পর ঘটনার রিপোর্ট দেয় জাতীয় মহিলা কমিশন।