আরজি কর-কাণ্ড: মায়াবতী কাঠগড়ায় তুললেন সব রাজনৈতিক দলকে, মমতার পাশে দাঁড়ালেন অখিলেশ
আনন্দবাজার | ১৭ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর-কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। চিকিৎসকেরা তো বটেই সাধারণ মানুষও পথে নেমে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শামিল হচ্ছেন। সকলের একটাই দাবি, ‘‘দোষীদের শাস্তি চাই, ধর্ষণ-খুনের ঘটনার বিচার চাই।’’ আরজি কর কাণ্ডে এ বার মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম জন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী এবং দ্বিতীয় জন সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রধান অখিলেশ যাদব। মায়াবতী আরজি কর-কাণ্ডে বাংলার সব রাজনেতিক দলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তবে অখিলেশ ঘটনার তীব্র নিন্দা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসক খুন-ধর্ষণের অভিযোগে রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া প্রতিবাদ মিছিল যেমন দেখেছে বাংলা, তেমনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও দলীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ করেছে। বিজেপি তো বটেই কংগ্রেসও নিন্দা করেছে ঘটনার। আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে মায়াবতী বলেন, ‘‘মহিলা চিকিৎসক খুনের ঘটনায় গোটা দেশ ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন। তবুও তৃণমূল আত্মপক্ষ সমর্থনে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার চেষ্টা করছে। অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও কম যায় না। এখন যা পরিস্থিতি তাতে দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং নির্যাতিতার পরিবার কী ভাবে ন্যায়বিচার পাবে, তা নিশ্চিত করা উচিত।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সবাইকে দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এ ব্যাপারে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ইত্যাদি বাদ দিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নির্যাতিতার পরিবার বলেছে, কোনও ক্ষতিপূরণ এই ঘটনায় ন্যায়বিচার হতে পারে না। সবাইকে তাদের বিচারের জন্য আন্তরিক হওয়া দরকার।’’
মায়াবতী তৃণমূলকে নিশানা করলেও অখিলেশ মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মমতা নিজে এক জন মহিলা এবং মহিলার ব্যথা বোঝেন। আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী তিনি ব্যবস্থা নিয়েছেন। সরকারও সিবিআই বা অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করার পক্ষে ছিল। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজনীতি করা উচিত নয়।’’
আরজি করের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। আরজি কর নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি। কলকাতার ঘটনাকে উত্তরপ্রদেশের হাথরসের সঙ্গেও তুলনা করেছেন রাহুল। পাল্টা এই নিয়ে তাঁকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি মমতাও। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘আমি কংগ্রেসকে বলছি, আপনারা তো অনেক রাজ্যে সরকার চালান। ধর্ষণের ঘটনায় সুবিচার নিশ্চিত করতে সেখানে আপনারা কী কী পদক্ষেপ করেছেন?’’