'টাকা আনতে বলেছিল...', হস্টেলে ছেলের নিথর দেহ দেখে মন্তব্য বাবার
এই সময় | ১৮ আগস্ট ২০২৪
আরজি কর নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেই হস্টেলে উদ্ধার ছাত্রের নিথর দেহ। ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে এক ফার্মাসি কলেজের। মালদা থেকে সেখানে পড়তে আসা এক ছাত্রের চরম পরিণতিতে মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য ঘনিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও ছাত্রটির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের সাফ কথা, খুন করা হয়েছে ছেলেকে। সেই সঙ্গে অভিযোগ, ঘটনার পাঁচ দিন পরেও থানা FIR নেয়নি।মালদার ইংরেজবাজার থানার যদুপুর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তৌহিদ করিম (১৯) জঙ্গিপুরে জ়াকির হোসেন ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসির পড়ুয়া ছিলেন। ক্যাম্পাসের ভিতরে হস্টেলেই থাকতেন তিনি। ছেলেকে ফোনে না পেয়ে গত ১৩ অগস্ট রাতে তাঁর বাবা হস্টেলে গিয়ে তৌহিদের মৃতদেহ দেখতে পান। তার আগে প্রতিষ্ঠানটির তরফে বাড়িতে কোনও খবর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
তৌহিদের বাবা রেজাউল করিম পেশায় ট্রাক চালক। তিনি জানিয়েছেন, ১৩ অগস্ট ট্রাক নিয়ে ছেলের কলেজের কাছেই রঘুনাথগঞ্জে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। তাই ১২ অগস্ট রাতে ছেলেকে ফোন করে স্ত্রী লুসি খাতুন জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর কিছু লাগবে কি না। তৌহিদ জানিয়েছিল, ছাতু, আমের আচার, গ্যাস সিলিন্ডার আর সম্ভব হলে কিছু টাকা পৌঁছে দিতে।
এরপর রেজাউল ১৩ তারিখ রওনা হওয়ার আগে ছেলেকে ফোন করলেও সাড়া পাননি। ভেবেছিলেন, সে হয়তো ক্লাসে ব্যস্ত। কিন্তু, সন্ধ্যা পর্যন্ত তৌহিদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। রেজাউল বলেন, ‘কাজ শেষ করে ১৩ তারিখ রাত ন’টা নাগাদ ছেলের হস্টেলে যাই। তার আগে হস্টেলের সুপার কানু চৌধুরীকে ফোন করে রাতে ছেলের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাই। তিনি অনুমতি দেন। কলেজের গেটে পা দেওয়ার মুহূর্তে ফের স্ত্রীর ফোন পাই। হস্টেল থেকে ছেলের এক রুমমেট আমার স্ত্রীকে ফোন করে জানিয়েছিল, ছেলে বেঁচে নেই। তিন তলায় হস্টেলে ওর রুমে গিয়ে দেখি, মেঝেতে ছেলের মৃতদেহ শোয়ানো। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ পৌঁছয়। কলেজের তরফে আমাকে জানানো হয় যে, পাশের ঘরটি কমন রুম, সেখানেই নাকি আমার ছেলে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’