• ‘‌ডার্বি বাতিল ভুল সিদ্ধান্ত’‌, ইস্ট–মোহনের ম্যাচ হবে না শুনেই ক্ষোভ কুণালের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তারপর নাগরিক সমাজ রাতের দখল নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। সেই রাতেই ভাঙচুর করা হয় আরজি কর হাসপাতাল। এই আবহে ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগানের ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মোহনবাগান ক্লাবের সহ–সভাপতি কুণাল ঘোষ। এতে ‘ভুল বার্তা’ যাবে জনমানসে পড়বে বলে মনে করেন অনেকে। এই নিয়ে নিজের বক্তব্য এক্স হ্যান্ডেলে তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। যা নিয়ে জোর চর্চা হচ্ছে।

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষীর ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নামেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে নানা ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে এখন তদন্ত করছে সিবিআই। তার মধ্যেই শনিবার ডুরান্ড কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রবিবাসরীয় ডার্বি হচ্ছে না। শনিবার ডুরান্ড কমিটি এবং রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত হয়। তারপরই কুণাল ঘোষের বার্তা, ‘‌ডার্বি বাতিল ভুল সিদ্ধান্ত। এটা কোনওভাবেই হওয়া উচিত ছিল না। মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যদি গ্যালারিতে প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, সেটা করতেন। কিন্তু ডার্বি হওয়া উচিত ছিল।’‌

    এদিকে খেলা না হলে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে। সেটা রাজ্যের মধ্যেই জোর চর্চা শুরু হবে। এটা চাইছেন না কুণাল ঘোষ। তবে কুণাল ছাড়াও অনেকে বলেছেন, শুক্রবার রাজ্য সরকারের দৌলতে সারা বাংলায় ‘খেলা হবে’ দিবস পালিত হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরই ‘খেলা হবে না’ দিবস পালিত হবে। এটার থেকে লজ্জাজনক আর কিছু নেই। এই বৈঠকের শেষে রাজ্যের পক্ষ জানিয়ে দেওয়া হয় এই মুহূর্তে নিরাপত্তার সমস্যা রয়েছে। তাই ডুরান্ড কমিটির পক্ষ থেকে সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, ডার্বি হচ্ছে না রবিবার। এই সিদ্ধান্তের পরই ভেসে ওঠে কুণাল ঘোষের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট।

    যেদিন রাতের দখল নিতে রাস্তায় নেমেছিল নাগরিক সমাজ সেদিনই আরজি কর হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল। শুক্রবার ডোরিনা ক্রসিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী তীব্র সমালোচনা করেন বাম–বিজেপি নেতৃত্বের। তারপরই আজ, শনিবার বৈঠক হয়। এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই মোহনবাগান কর্তা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌আমি মোহনবাগান ক্লাবের সহ–সভাপতি হিসেবে বলছি, ডার্বি ম্যাচ হওয়া উচিত ছিল। কোনও অবস্থাতেই বাতিল হতে পারে না। ন্যায়বিচার হতো, রাজনৈতিক ব্যানার থাকত। পুলিশ তৈরি ছিল। আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ তো সব জায়গায় হচ্ছে। সমর্থকরা যদি গ্যালারিতে পোস্টার বা স্লোগান দিতেন, সেটা দিতেই পারেন। কিন্তু খেলা তো খেলার মাঠে। ডার্বি স্থগিত হওয়ায় নেতিবাচক কুৎসা হবে। দয়া করে ডার্বি হতে দিন।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)