• ডোমকলে ৭৫ লক্ষের সোনার বাট পাচার রুখল বিএসএফ, গ্রেপ্তার ৩
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ডোমকল: সন্দেহ এড়াতে ট্রাক্টরের ট্রলির অ্যাক্সেলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সোনার বাট। উদ্দেশ্য ছিল, বিএসএফের নজর এড়িয়ে বাংলাদেশ থেকে এদেশের কারবারির কাছে সোনা পাচার। কিন্তু বিএসএফের কড়া নজরদারিতে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল।

    ট্রলির অ্যাক্সেলে লুকোনো ১১০৫ গ্রামের দু’টি সোনার বাট বিএসএফের ৭৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের ইন্ডিয়া ওয়ান ক্যাম্পের জওয়ানরা বাজেয়াপ্ত করলেন। সোনার বাট দু’টির বাজারমূল্য প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। এঘটনায় বিএসএফ তিনজনকে পাকড়াও করেছে। তদন্তের স্বার্থে বিএসএফ আপাতত তাদের নাম গোপন রেখেছে।

    বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের পিআরও একে আর্য বলেন, চোরাচালান রুখতে বিএসএফ বদ্ধপরিকর। সীমান্তের বাসিন্দাদের সোনা পাচার সংক্রান্ত যে কোনও তথ্য বিএসএফ-এর ‘সীমা সাথী’ হেল্পলাইনে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার জন্য তথ্যদাতাকে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে। তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে।

    বিএসএফ জানিয়েছে, শুক্রবার গোয়েন্দা ইনপুট থেকে ইন্ডিয়া ওয়ান ক্যাম্পে খবর আসে, বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়া ওয়ান বিওপি এলাকা দিয়ে সোনা পাচার হবে। তৎক্ষণাৎ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার বিশেষ টিম পাঠান। অন্য জওয়ানদের নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বিভিন্ন ওপি পয়েন্টে চিরুনি তল্লাশি শুরু হয়। তল্লাশি চলাকালীন ছয় নম্বর ওপি পয়েন্টে সীমান্তের মাঠ থেকে আসার সময় একটি ট্রাক্টর দাঁড় করানো হয়। সেটিতে তল্লাশি চলাকালীন ট্রাক্টরের চালকের চোখেমুখে অস্বস্তির ভাব লক্ষ করেন জওয়ানরা। শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। তখন জওয়ানরা ট্রাক্টরের ট্রলির অ্যাক্সেল হাবের ডানদিকে লুকোনো দু’টি সোনার বাট খুঁজে পান।

    এরপরই চালক ও ট্রাক্টরে থাকা আরও দু’জনকে জওয়ানরা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। তাতে সদুত্তর না মেলায় তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা সোনা পাচারের বিষয়টি স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে চালক বলে, সে কৃষকের পরিচয় দিয়ে দু’জনকে নিয়ে সীমান্তে গিয়েছিল। এরপর সেখানকার ক্যারিয়ারের থেকে সোনা নিয়ে ট্রাক্টরের অ্যাক্সেলে লুকিয়ে নিয়ে আসছিল। ধৃত তিনজনকে ও বাজেয়াপ্ত সোনার বাঁট দু’টি বহরমপুরের শুল্ক দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)