• বন্ধ ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান, ক্ষুব্ধ রোগীরা
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সদর হাসপাতালে বন্ধ হয়ে গেল ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান। শনিবার ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের কাউন্টার বন্ধ ছিল। দরজায় ঝুলছিল তালা। ফলে ওষুধ না পেয়ে অনেকেই বিপাকে পড়েন। কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওষুধের দোকানের কর্মীরা জানান, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে এখানে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানটি বন্ধ হয়ে গেল। এটা জানার পর রোগীদের অনেকেই ক্ষোভ উগরে দেন।

    ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান বন্ধ হওয়া নিয়ে মেডিক্যালের সুপার ডাঃ কল্যাণ খাঁ বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সদর হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানটি বন্ধ হয়ে গেল। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান হচ্ছে। রোগী ও তাদের পরিজনরা সেখান থেকেই কম দামে ওষুধ পাবেন।

    যদিও কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন রোগীরা। তাঁদের বক্তব্য, জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা চালু রয়েছে। এখানে প্রচুর রোগী ভর্তি থাকেন। পাশেই মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব। এখান থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কয়েক কিমি দূরে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসকরা যে ওষুধ লিখবেন, তা কিনতে রোগী বা তাঁদের পরিজনরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যাবেন কীভাবে? টোটোয় আসা-যাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু ৫০ টাকারও বেশি খরচ হয়ে যাবে। সদর হাসপাতালের রোগীদের কথা না ভেবে আচমকা ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হল কেন?

    এদিন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের দোকান থেকে ওষুধ নিতে এসেছিলেন সিঙ্গিমারির পরীক্ষিৎ রায়। তিনি বলেন, আমার রোগী সদর হাসপাতালে ভর্তি। চিকিৎসক অনেকগুলো ওষুধ লিখেছেন। ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানে এসে দেখি, দরজায় তালা ঝুলছে। কর্মীরা জানালেন, দোকানটি পুরোপুরি বন্ধ। কোথা থেকে কম দামে ওষুধ কিনব জানি না। বেশি দাম দিয়ে ওষুধ কেনার ক্ষমতা নেই আমার। অরবিন্দ পঞ্চায়েতের রাউতবাগানের বাসিন্দা পারমিতা বর্মনও ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান বন্ধ দেখে হতাশ হন। তিনি বলেন, ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার দেখিয়েছি। কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়েছেন। এসে দেখি দোকান বন্ধ। আমরা দুঃস্থ। কম দামে ওষুধ পাব কোথা থেকে? নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)