নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর হাসপাতালে নিহত তরুণী চিকিৎসকের ‘বিশেষ বন্ধুকে’ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠাল সিবিআই। শেষ কয়েকদিন তাঁর সঙ্গে কী কথা হয়েছিল এবং তিনি আতঙ্কে আছেন বলে জানিয়েছিলেন কি না, তা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। শনিবার তাঁর দুই বন্ধু এবং কয়েকজন ইন্টার্ন সহ মোট ন’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। ওই রাতে ঠিক কী হয়েছিল এবং ঘটনার কথা তাঁরা কখন জেনেছিলেন? এই সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্ন করা হয়। আর ওই তরুণী চিকিৎসককে কেন তাঁরা একা রেখে চলে গেলেন, সেই বিষয়েও জানতে চান তদন্তকারীরা। সকলেই জানিয়েছেন, তাঁরা বুঝতে পারেননি এতবড় ঘটনা ঘটেছে। এক ইন্টার্ন বলেন, সেমিনার হলে গিয়ে তিনি দিদিকে পড়ে থাকতে দেখেন। তারপর বিষয়টি সকলকে জানান। এদিকে, আর জি কর কাণ্ডে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সদস্যপদ বাতিল করল রাজ্য অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন। আরও বলা হয়েছে, এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত তিনি অ্যাসোসিয়েশনের কোনও কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।
তদন্তকারী টিমের অফিসাররা শুক্রবার দফায় দফায় হেফাজতে থাকা সঞ্জয় রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সূত্রের খবর সে বেশকিছু ক্লু দিয়েছে। তার থেকে তদন্তে নতুন দিশা মিলতে পারে। তবে অফিসাররা যাচাই করে দেখছেন, সঞ্জয় নিজেকে বাঁচাতে ইঙ্গিতপূর্ণ বিভিন্ন কথা বলছে না তো? নাকি সত্যিই এর মধ্যে কোনও বাস্তবতা রয়েছে। চতুর্থ ব্যাটালিয়নে সঞ্জয় যেখানে থাকত, সেখানে যান অফিসাররা। বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। গোটা ঘর ভিডিওগ্রাফিও করা হয়। পুলিসকর্মী না হয়েও সে কীভাবে ব্যাটালিয়নে থাকার জায়গা পেল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তদন্তকারীরা। তাকে এখানে থাকার অনুমতি সংক্রান্ত নথি চাওয়া হচ্ছে বলে খবর। পাশাপাশি এই ব্যাটালিয়নের যে এএসআইকে ঘটনার পর সঞ্জয় ফোন করেছিল বলে জানা গিয়েছে, তিনিও আছেন এজেন্সির নজরে। ওই টিমের সদস্যরা যান সঞ্জয়ের ভবানীপুরে বাড়িতে। তার মায়ের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। অন্য একটি টিম আর জি করে সেমিনার হলে গিয়ে ফের থ্রি ডি স্ক্যানারের মাধ্যমে ভিডিওগ্রাফি করে।