• যোগীরাজ্যের তফসিলি জাতি শংসাপত্র কি এরাজ্যে চাকরির ক্ষেত্রে গণ্য হবে? জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডোমিসাইল সার্টিফিকেট এবং কাস্ট সার্টিফিকেট নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এবার উত্তরপ্রদেশের ইস্যু করা তফসিলি জাতিভুক্ত বা সিডিউল কাস্ট সার্টিফিকেট এরাজ্যে চাকরির ক্ষেত্রে গণ্য হবে কি না, তা নিয়ে রাজ্যের কাছে জবাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। 


    মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জেনারেল সেন্ট্রাল সার্ভিস গ্রুপ সি’র ৩৫০ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। যার মধ্যে ৫৬টি পদ ছিল তফশিলি জাতিভুক্তদের জন্য সংরক্ষিত। মামলাকারী গুলশন কুমার কানোজিয়ার দাবি, তিনি ওই সংরক্ষিত পদে আবেদন জানিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশে তাঁর আদি বাড়ি হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা। প্রমাণ হিসেবে তিনি বর্ধমান সদরের (উত্তর) মহকুমা শাসকের জারি করা ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জমা দেন। সেইসঙ্গে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে প্রাপ্ত একটি শংসাপত্র, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড সহ সম্পত্তির তথ্য, ইলেকট্রিক বিল জমা দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ সরকারের ইস্যু করা সিডিউল কাস্ট সার্টিফিকেটও জমা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, তাঁর আবেদনটি গণ্য করা হয়নি। ওই সিডিউল কাস্ট সার্টিফিকেট গণ্য হলে তিনি সংরক্ষিত তালিকায় প্রার্থী হিসেবে বয়সের ছাড় পেতেন। 


    সম্প্রতি বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, যেহেতু এই পরীক্ষা আয়োজন করে স্টাফ সিলেকশন কমিশন, সেক্ষেত্রে অন্য রাজ্যের ইস্যু করা সিডিউল কাস্ট সার্টিফিকেট এক্ষেত্রে গণ্য হওয়া উচিত। রাজ্যের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, স্টাফ সিলেকশন কমিশন ওই পরীক্ষা আয়োজন করলেও এরাজ্যে নিয়োগের জন্য ৫৬টি সংরক্ষিত পদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে এরাজ্যের তফসিলি জাতিভুক্ত প্রার্থীদের ওই সুযোগ পাওয়ার কথা। এক্ষেত্রে মামলাকারী রাজ্যের বাসিন্দা হলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে সংরক্ষিত শ্রেণি অর্থাৎ সিডিউল কাস্ট হিসেবে গণ্য করেনি। ফলে তিনি সংরক্ষিত প্রার্থী হিসেবে গণ্য হতে পারেন না। উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি মুখোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশ সরকারের ইস্যু করা ওই সার্টিফিকেট এরাজ্যে সংরক্ষিত পদের জন্য গণ্য হবে কি না, তা জানতে রাজ্যের কাছে হলফনামা আকারে জবাব তলব করেছেন। ২২ আগস্ট ফের শুনানি। 
  • Link to this news (বর্তমান)