‘ইন্ডিয়া’ শিবির নিয়ে প্রশ্ন তুলে পথে নামল বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব
বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে রাজনীতির ঘোলাজল আরও ঘোলা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে যে মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ মোদি বাহিনীকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার বহু আগে থামিয়ে দিয়েছিল, রাহুল গান্ধীর পোস্ট এবং বাম-কংগ্রেসের ‘এক পথে হাঁটা’ তাতেই ফাটল ধরাচ্ছে। শনিবার শহরের রাজপথে বামেদের ডাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে পা মেলালও কংগ্রেসও। আর তাতেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, একের পর এক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এতে কার সুবিধা হবে? মোদি ব্রিগেডের নয় তো?
ভোটের আগে থেকেই বাংলার বুকে বাম-কংগ্রেস জোট তৃণমূলের বিরোধিতা করে গিয়েছে। সেই জোট বাংলার মানুষ মেনে নেননি। হারতে হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও। রাজ্যস্তরে বিরোধিতা থাকলেও কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড কিন্তু বাংলা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে দূরত্ব এবং তিক্ততা বজায় রেখেই চলেছিলেন। সেই বাঁধও আর জি কর কাণ্ডে ভেঙেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা না রেখে উল্টোপথে হাঁটছে বাম-কংগ্রেস। আর তাতে বিজেপির এজেন্ডা ফুলেফেঁপে উঠছে বলেই দাবি তৃণমূলের। শনিবার রাসবিহারী মোড় থেকে রবীন্দ্র সদন পর্যন্ত বাম ও কংগ্রেসের মিছিল সেই প্রশ্ন আরও জোরদার করেছে। কিন্তু লোকসভা শুরু পর তো কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক মধুর বলেই দেখা গিয়েছিল। এই বিষয়ে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য মিছিল থেকেই বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি মেলাবেন না। প্রশাসনিক ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। রাহুল গান্ধী নিজে মত প্রকাশ করেছেন। আমাদের নতুন বাংলা গড়তে হবে।’ আর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির
সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘কার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক জানি না। গোটা দুনিয়া এই ঘটনার নিন্দা করছে। মানুষ রাজনীতি ভুলে গিয়ে পথে নামছেন, রাত জাগছেন। উন্নাও-হাতরাস নিয়ে বলব আর বাংলা নিয়ে বলব না! তা হবে না।’