• আগস্টে পর্যাপ্ত বৃষ্টি, রাজ্যে ৪১ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ কেটে গিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। জুলাই মাসের শেষ পর্যন্তও দক্ষিণবঙ্গে ধান চাষের প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল কৃষকদের মধ্যে ও রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। আগস্টে প্রয়োজনীয় বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।  শুধু তাই নয়, বিগত দু’বছরে যা সম্ভব হয়নি, এবার খরিফ মরশুমে সেটাই হতে চলেছে। বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে ২০২২-২৩ এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দুই থেকে চার লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্ভব হয়নি। এবছর এই পরিসংখ্যান ছাপিয়ে যাব। ইতিমধ্যে ৩৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ হয়েছে। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে ৪১ লক্ষ হেক্টরের বেশি জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন কৃষি আধিকারিকরা। এর আগে শেষবার ৪১ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ সম্ভব হয়েছিল ২০২১-২২ সালে। 

    এক আধিকারিক জানান, ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের দিকে তাকিয়ে থাকে গোটা দেশ। ফলে এ রাজ্যে ধান উৎপাদনে ঘাটতি হলে সারা দেশের জন্যই তা একটা চিন্তার কারণ। তবে এখন আর চিন্তার কোনও কারণ নেই। পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। এমনকী পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মতো যেসব জেলায় ধানের চারা রোপণের হার যথেষ্ট কম ছিল, আগস্টের বৃষ্টির পর সেখানেও কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। পুরুলিয়া, বীরভূমেও লক্ষ্যমাত্রার ৯০ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। কৃষিদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, রোপণের এলাকা বৃদ্ধি হওয়ায় উৎপাদনও অনেকটা বাড়বে। এই মরশুমে ১৭৬ থেকে ১৮০ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হবে বলে মনে করছে তারা। 

    অন্যদিকে, খরিফ মরশুমে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সারের জোগান নিশ্চিত করতে ২০ আগস্ট একটি বৈঠক করতে চলেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। উপস্থিত থাকবেন প্রধান সচিব ওঙ্কার সিং মিনা। জেলায় নিযুক্ত কৃষিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদেরও বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)