• পেট্রাপোল সীমান্ত: এল না ফুলের ডালা ও দুধ, মনসা পুজোয় নেই ওপার বাংলার ভক্তরা
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির প্রভাব পড়ল পেট্রাপোল সীমান্তের মনসা পূজোতেও। এপারে এসে পৌঁছল না ওপার বাংলার পুজোর ডালা, দুধ। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়া নজরদারির ফলে ওপার বাংলার মহিলারা উলুধ্বনি দিলেন না। পুজোর দিন সেভাবে কাউকে দেখা গেল না সীমান্তে। তবে ভারতে ঘটা করে মনসা পুজো হল। ঢাক বাজল। হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে পাহারা দিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে খিচুড়ি প্রসাদ খেলেন শয়ে শয়ে মানুষ।

    প্রতি বছর ভারত বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তে সাড়ম্বরে পুজোর আয়োজন করা হয়। সীমান্তের জিরো পয়েন্টের পাশে বিএসএফ ক্যাম্পের পিছনে রয়েছে প্রাচীন এক মনসা মন্দির। এই মন্দির ঘিরে নানা কাহিনি রয়েছে। মনসা পুজোর দিন বহু দূর থেকে পুণ্যার্জনে আসেন এই মন্দিরে। দেবী জাগ্রত বলে মানুষের বিশ্বাস। এই মন্দিরে অনেকেই মানত করেন। তাঁদের মনস্কামনা পূর্ণ হলে পুজো দিয়ে যান। শনিবার অনেকে এসেছিলেন। এদিন নেতাজিনগর থেকে ছেলের সঙ্গে পুজো দিতে মন্দিরে এসেছিলেন শঙ্করী দেবনাথ নামে এক বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর মায়ের কাছে আসি। আঁচল পেতে ভিক্ষা চাইলাম। মা কাউকে ফেরায় না।’

    পেট্রাপোল ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রতি বছর এই পুজোর আয়োজন করা হয়। পুজোর সম্পাদক দীপক ঘোষ বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ থেকে বহু মানুষ আসতেন পুজো দিতে। গত বছর পর্যন্ত পুজোর ফুল, ফল, দুধ পাঠিয়েছিলেন।’ মন্দিরের গা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে হাঁকোর খাল। ৫০ মিটার চওড়া ওই খালের ওপারেই বাংলাদেশের সাধিপুর। কয়েক বছর আগেও খালের ধারে দাঁড়িয়ে থাকতেন ওপার বাংলার মহিলারা। ঢাকের শব্দ শোনার পর উলু দিতেন। তবে এবার বিএসএফ ও বিজিবির কড়াকড়ির কারণে সেসব হয়নি। পুজো কমিটির রতন মাঝি বলেন, ‘বিএসএফের কড়াকড়ি থাকলেও মন্দিরে আসতে কাউকে বাধা দেওয়া হয় না। সারা বছর বিএসএফ এই মন্দিরের দেখভাল করে। ফলে পুজো ঘিরে তাদেরও উন্মাদনা থাকে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)