• কোন্নগর: জরাজীর্ণ দমকল ভবন, ৩৩ জন কর্মী আতঙ্ক নিয়ে অফিস করেন
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: নামেই সরকারি দপ্তর। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ভূতুড়ে বাড়ি। পাকা দালানে শেষ কবে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, বোঝা যায় না। জায়গায় জায়গায় গজিয়েছে পাকাপোক্ত বট, অশ্বত্থ গাছ। দেওয়ালের আস্তরণ চটে গিয়ে ইট বেরিয়েছে। ভিতরের অবস্থা আরও খারাপ। যখন-তখন ছাদ থেকে সিমেন্টের চাঙর খসে পড়ে। এই ছবি কোন্নগরের দমকল কেন্দ্রের। জিটি রোডের উপরে হাতিরকুলে ওই বাড়ির জরাজীর্ণ দশা নিয়ে সর্বদা আতঙ্কিত দমকল কর্মীরা। এক, দু’জন নন, ৩৩ জন কর্মী সেখানে থাকেন। অভিযোগ, নানা নামেই সরকারি দপ্তর। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ভূতুড়ে বাড়ি। পাকা দালানে শেষ কবে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, বোঝা যায় না। জায়গায় জায়গায় গজিয়েছে পাকাপোক্ত বট, অশ্বত্থ গাছ। দেওয়ালের আস্তরণ চটে গিয়ে ইট বেরিয়েছে।মহলে দরবার করেও কোনও সুরাহা মেলেনি। ফলে, নিজেদের জীবনের আতঙ্ক নিয়েই রোজ আগুনের আতঙ্ক রুখতে ছুটতে হয় কোন্নগরের দমকল কর্মীদের। কোন্নগরের গঙ্গার পাড়ে দমকলের অফিসটি দোতলা। একতলার একাংশ জুড়ে আছে আগুন নির্বাপণের গাড়ি ও নানা যন্ত্র। দোতলায় অফিসের অংশ, একাধিক ঘর ও আবাস আছে। প্রতিটি ঘরের দেওয়ালে বড় বড় ফাটল। বট, অশ্বত্থ গাছের শিকড় সেসব ফাটলকে রোজই বাড়িয়ে তুলছে। সেখানেই বসে এক কর্মী বলেন, কিছুদিন আগেই ছাদ থেকে সিমেন্টের চাঙর খসে পড়েছিল। তখন একজন অফিসার ঘরেই বসেছিলেন। কপাল জোরে তাঁর মাথায় চাঙর পড়েনি। কাঁধ ঘেঁসে পাশে পড়েছিল। কোন্নগরের দমকল দপ্তরের আধিকারিক প্রসেনজিৎ পোদ্দার বলেন, বিপদ নিয়েই আমাদের কর্মীদের কাজ করতে হয়। তাই বিপদের ভয় তেমন করেন না কেউ। কিন্তু চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে যে অফিসে কাজ করছি, তা আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। অথচ তা সারানো যাচ্ছে না। এই অবস্থা মেনে নেওয়া কষ্টকর। হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। দ্রুত খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় চার বছর ধরে দমকল ভবনের বেহাল দশা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্কার কাজ না হওয়ায় জটিলতা আরও বেড়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা কর্মীদেরই এমন বিপর্যস্ত অবস্থা! এ ব্যাপারে সরকারি উদাসীনতা ঘিরে নাগরিক মহলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)