• বেআইনি নির্মাণ: জেলাশাসককে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
    বর্তমান | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জমি দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই জমিতেই গড়ে উঠেছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। কিন্তু এখন লাগোয়া অংশে একটি বেআইনি নির্মাণের জেরে অবরুদ্ধ হয়েছে পড়েছে গোটা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে হুগলির জেলাশাসককে অবিলম্বে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। হুগলির খানাকুলের হেলান গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি তৈরির জন্য মুন্সি শাহজাহান সহ প্রায় দশজন গ্রামবাসী রাজ্য সরকারকে ২.৬০ শতক জমি দান করেন। এরপর রামমোহন ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার হেলান গ্রামে ওই জমিতেই তৈরি হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। গোটা গ্রামের মানুষই এর উপকার পাচ্ছিলেন। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের উত্তর ও পূর্ব দিক আটকে একটি বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। যার জেরে এই কেন্দ্রটি পুরো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত থেকে প্ল্যান পাশ না করিয়েই এই নির্মাণটি তৈরি করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ, এব্যাপারে পঞ্চায়েতে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এরপরই বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন গ্রামবাসীরা। 

    সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে ছবি সহ ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের চিত্র তুলে ধরেন মামলাকারীর আইনজীবী। যা দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছে আদালত। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ এক নির্দেশে জানিয়েছে, হুগলির জেলাশাসককে কোনও অফিসার নিযুক্ত করে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে। অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে ওই বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে। চার সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
  • Link to this news (বর্তমান)