• 'রূপান্তরকামীর বুক টেপা তো দূরের, কাউকে ছোঁয়নি পর্যন্ত RPF', দাবি মেট্রোর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৮ আগস্ট ২০২৪
  • গত ১৫ অগস্ট রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশনে নাকি দুই রূপান্তরকামী মহিলাকে নিগ্রহ করেছিল আরপিএফ। এমনই অভিযোগ উঠেছিল। এর জেরে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল মেট্রো রেল কর্তপক্ষকে। এই আবহে মুখ খুলল মেট্রো। দাবি করল, সেদিন একদল যাত্রীই আইন ভঙ্গ করেছিলেন। তবে আরপিএফ ধৈর্য দেখিয়েছিল। কাউকে সেদিন ছোঁয়নি পর্যন্ত আরপিএফ। এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বন্যা কর বলেছিলেন, 'টিকিট থাকা সত্ত্বেও একজন রূপান্তরকামী বোনকে এক মহিলা আরপিএফ ঢুকতে দেয়নি। বলা হয়, উপর থেকে অর্ডার আছে যে সে ও তার সঙ্গীরা মেট্রোতে উঠতে পারবে না। তখন সঙ্গীরা তেড়ে গেলে আরপিএফ রাম কিষন রাম আরেক রূপান্তরকামী বোনের হাতে হাত ডলতে ডলতে বলে আসুন না আলাদা ঘরে গিয়ে একা কথা বলি। এরপর সেই কজন রূপান্তরকামী মানুষ চিৎকার চেঁচামেচি ও প্রতিবাদ শুরু করে। তখন আরেকজন ট্রান্স বোনকে বুকে ধাক্কা মেয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।'

    তবে সেই ঘটনা নিয়ে এবার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি জারি করে বলল, 'সামজিক মাধ্যমে গত ১৫ অগস্টের ঘটনা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৬টা ২০ মিনিট নাগাদ ১০-১৫ জন যাত্রী রবীন্দ্র সদন স্টেশনের মধ্যেই অতি আগ্রাসী হয়ে স্লোগান তুলে বলতে থাকেন, 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। এতে আইন ভঙ্গ হয়। তখন কর্তব্যরত মহিলা আরপিএফ কনস্টেবল এবং অন্যান্য আরপিএফ কর্মীরা তাঁদের স্লোগান তুলতে বারণ করেন। কিন্তু আরপিএফ-এর অনুরোধ রাখেননি সেই যাত্রীরা। এই সময় তাঁরা মেট্রো গেট অবরোধ করে সাধারণ যাত্রীদের প্রবেশ আটকে দেন। সেই সময় খবর পেয়ে আরও আরপিএফ কর্মীরা সেখনে যান এবং তাঁদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তবে উলটে সেই যাত্রীরা আরপিএফ-এর সঙ্গেই বাজে ব্যবহার করেন।'

    এরপর মেট্রোর তরফ থেকে আরও বলা হয়, 'এত কিছুর পরও আরপিএফ অনেক ধৈর্য দেখিয়েছে। এর মধ্যে ভবানীপুর থানাকেও ঘটনার বিষয়ে জানানো হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। এত কিছুর মধ্যে অনেক যাত্রীরা সেই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। সেই সময় অন্য যাত্রীদের ওপর চড়াও হন এই বিক্ষোভকারীরা। মেট্রো গেটেও ভাঙচুর চালানো হয়। তা সত্ত্বেও আরপিএফ কর্মীরা সংবেদনশীল হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এই বিক্ষোভ জারি থাকে। পরিষেবার সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও মেট্রোর গেট বন্ধ করতে বাধা দেওয়া হয়। পরে শেষ পর্যন্ত রাত ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ সেই বিক্ষোভকারীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এত কিছুর মধ্যেও কোনও বিক্ষোভকারীকে আরপিএফ ছোঁয়নি। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তা স্পষ্ট। এই আবহে মেট্রো আরপিএফ একটি এফআইআর রুজু করে।'

    এদিকে সেদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে বন্যা বলেছিলেন, 'সেই রাতে আমি বাড়ির ফেরার জন্য যখন মেট্রো ধরতে গিয়েছি আমার বোনেদের স্টেশন মাস্টারের ঘরে দেখতে পেয়ে ছুটে যাই। জানতে পারি তারা ভবানীপুর থানায় এফআইআর করেছে এবং স্টেশন মাস্টারের অপেক্ষা করছে যিনি বিগত তিন ঘন্টা ধরে ডিউটিতে থাকা সত্ত্বেও স্টেশনে নেই। আমি একজন আরপিএফকে খুব নম্র ভাবে জিজ্ঞেস করি কী হয়েছে? উনি ভাবেন আমি অন্যান্য যাত্রীদের মতোই কৌতূহল নিয়ে এসেছি। আমাকে বলে ম্যাডাম কিছুই না আমার কলিগ শুধু ফিল নিতে চেয়েছিল ওর বুকটা অরিজিনাল না ফেক! আমি চিৎকার করে উঠলে উনি হেসে বলেন এত ইস্যু কেন করছেন? সেই ব্যক্তির নাম অসীম ঘোষ।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)